অর্থনীতিআইন বিচারআত্মহত্যাআন্তর্জাতিকনারী ও শিশু নির্যাতনপরিবেশ ও জীববৈচিত্রফরিদপুরবাংলাদেশবিনোদনরাজনীতিস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাহত্যা
Trending

মুন্সিগঞ্জের তানিয়া গর্ভের সন্তান হত্যা করে স্বামির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

প্রেমিকের সন্তান গর্ভে ধারন; স্বামি বুঝতে পারায় গর্ভের বাচ্চা হত্যা করে উল্টো স্বামির বিরুদ্ধে মামলা

মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার, কোলা ইউনিয়নের পাড়াভোম (নন্দনকোনা) গ্রামের আ: রাজ্জাকের মেয়ে তানিয়া আক্তার, তার গর্ভের সন্তান হত্যা করে, উল্টো স্বামিসহ স্বামির পরিবারের বিরুদ্ধে খোরপোষসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানা যায়।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১৯/১১/২০১৭ ইং তারিখে ফরিদপুর জেলায় সাইফুল (ছদ্মনাম) এর সাথে, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার, কোলা ইউনিয়নের পাড়াভোম (নন্দনকোনা) গ্রামের আ: রাজ্জাকের মেয়ে তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে সে স্বামির সাথে ঢাকায় বসবাস করতো, বিয়ের ১০ দিন যেতে না যেতেই উক্ত তানিয়া তার প্রেমিক তুষারের সাথে মিলে দেহ ব্যবসায় সামিল হয়।

এব্যপারে তার স্বামি সাইফুল একাধিক বার প্রতিবাদ করতে গেলে, সাইফুল বিষয়টি তানিয়ার মা শেফালি সহ বিদেশরত তানিয়ার মামা শিপনকে মুঠোফোনে জানায়, বিষয়টি নিয়ে বারাবারি করলে সাইফুলকে তারা মিথ্যা মামলা সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এঘটনার ১ মাস পর তানিয়া তার মামার বাড়ি, মুন্সিগঞ্জ চলে যায় এবং সেখানে দীর্ঘ ৬মাস বসবাস করে।

হঠাৎ একদিন তানিয়া বলে সে মা হতে চলেছে, বিষয়টি সাইফুল জেনে তাকে বলে যে, তুমি ৬ মাস তোমার মামার বাড়িতে আছো, এই ৬মাস তুমি আমার সাথে দেখা করোনি, তাহলে তুমি কিভাবে মা হতে চললে? এসব কথা বলার পর তানিয়া কোন কথা না বলে কল কেটে দেয়।

 

 

পরের দিন সাইফুল তানিয়ার মামা বাড়িতে যায় এবং সেখানে গিয়ে এলাকার ২০-৩০ জন মহিলা-পুরুষ নিয়ে তানিয়া কে জিজ্ঞাসা করে,

“আপনারাই বলেন, এই তানিয়ার সাথে আমার বিয়ের পর থেকে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই, তাহলে সে কিভাবে মা হতে চললো?”

গ্রামবাসী তানিয়াসহ তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তানিয়া তখন শিকার করে যে, তার প্রেমিক তুষার এর সাথে তার কাগজ কলম ছাড়াই ইসলামী শরিয়াহ মতে বিয়ে করেছে এবং এটা তৃষারের সন্তান, গ্রামবাসী তখন বলে, সাইফুল কে তালাক না দিয়েই অন্যকে বিবাহ, অতপর গ্রামবাসী তাদের ১০০ জুতার বাড়ি দিয়ে, গোপন যোগসাযোসে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় এবং সাইফুলকে বিচার দিবে বলে শান্তনা দেয়।

সাইফুল এর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে এবং বাচ্চা জন্মের পর বাচ্চার ডিএনএ পরিক্ষার করবে জেনে, উক্ত তানিয়া ১৬/০৮/২০১৯ইং তারিখে খিদমাহ হাসপাতালে গিয়ে, তার বোন সোনিয়া, তার মা শেফালি, তার বোন জামাই সাগর সহ আরো অনেকে, নিজেদের বাচার জন্য উক্ত তানিয়াকে ঔষুদ সেবন করিয়ে গর্ভের বাচ্চা হত্যা করে, তড়িঘড়ি করে গোপনে খিলগাও কবরস্থানে দাফন করে।

 

 

পরবর্তীতে বিষয়টি সাইফুল সহ তার পরিবার জানতে পারে এবং তারা খিলগাও খিদমাহ হাসপাতালে গিয়ে খোজ-খবর নেয়, কর্তব্যরত ডাক্তার শাহানাজ বলেন, তানিয়ার গর্ভের বাচ্চা ঔষুধ সেবন করিয়ে অনেক আগেই হত্যা করেছে, তার ডেলিভারিরে সঠিক সময়ে সিজার করেনি, বরং ডেলিভারির সময় পার হয়ে প্রায় ২ মাস পর তার স্বামি সাইফুল নিজে হাসপাতালে ভর্তি  করে সিজার করে মৃত সন্তান বের করাছিল এবং হাসপাতালে তার স্বাক্ষর আছে।

উক্ত ডাক্তারের কথা শুনে সাইফুল ও তার পরিবার তখন ডাক্তারকে সবকিছু জানায়।

তারপর হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার দেখতে পান সেখানে সাইফুল ছিলোনা, বরং তানিয়ার বোনের স্বামি সাগর, সোনিয়া, লিভা, তানিয়ার মা শেফালি বেগম সহ অচেনা আরো কিছু লোকজন।

 

 

তখন সাইফুল এর বাবা খিলগাও থানায় মামলা করতে গেলে, তানিয়ার বোন সোনিয়া এবং সোনিয়ার স্বামি সাগর মিলে সাইফুল এর বাবার পা ধরে কান্নাকাটি করে এবং বলে যে তানিয়া সুস্থ হওয়ার পর আপনি যা করার করিয়েন। সাইফুল এর বাবা খিলগাও থানায় মামলা না করে ডায়েরি করেন। ডায়েরী নং ১২২৮/১৯ইং এবং একাধিক দৈনিক পত্রিকায়ও এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।

তানিয়ার সুস্থতার কথা বলে কয়েকমাস পার হয় এবং তানিয়া হঠাৎ সাইফুল সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করেন। এবিষয়ে তানিয়ার মামাবাড়ির প্রতিবেশিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন,

“আপনাদের আগেই বলেছি, তানিয়ার পরিবারে বিয়ের ব্যবসা, তানিয়ার আগে তাদের কোন এক আত্তীয়র সাথে কাগজ কলম না করে কলমা পড়ে বিয়ে হয় এবং ৭-৮ দিন পর তারা পারিবারিক ভাবে তালাক প্রাপ্ত হয়। তালাকের কারন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, তানিয়ার প্রেমিক “তুষার (কনক) ও তানিয়ার ২টি সেক্স ভিডিও ভাইরাল হয়, যেটা এখনও ইন্টারনেটে রয়েছে, তাই তানিয়ার ডিভোর্স হয়েছিলো।” 

গ্রামবাসী আরো বলেন, তানিয়ার, বিয়ে নামের বানিজ্য বন্ধ করতে গেলেই তারা এলাকাবাসীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। তানিয়ার মামা শিপন তার বউকে নিয়ে বিদেশ থাকে এবং মানুষকে বিদেশ নিবে বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে, গাজিপুরে ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করে, যাহা দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) এবং সিআইডি তে জানানো হয়েছে।

তারা আরো বলেন, কিছুদিন পূর্বে তানিয়ার অন্যকোথাও কলমা পড়ে বিয়ে হয় এবং সে তার নতুন স্বামির সংসার করছে। যাহা তানিয়ার ডিএনএ পরিক্ষা করলে প্রমান হবে। আমরা গ্রামবাসী সরকারের কাছে এদের বিচার দাবি করছি।

 

 

অপরদিকে সাইফুল জানায়, বিয়ের ২ মাস পর আমাকে বিদেশে নিবে বলে ১৮ লাখ টাকা তানিয়া মাধ্যমে তার মামা শিপনসহ তার ভাই রিপন ও মিঠুন কে দিয়েছি, সেই টাকাও আমাকে ফিরত দিচ্ছে না এবং আমাদের এলাকার অনেকের কাছ থেকে তানিয়া, তানিয়ার মামারা প্রায় ৪০ লাখের বেশি টাকা নিয়ে বিদেশ পাঠাইনি। আমি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং বাকিরাও আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Facebook Comments

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
111