ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

“সন্দ্বীপের লজ্জা থেকে আজ বাঁচলাম: ইউনুস”

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৫৫ বার দেখা হয়েছে

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিকে ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “সন্দ্বীপের মানুষ এতদিন কাদা মাড়িয়ে ডিঙি নৌকায় আর বোটে করে কেন সমুদ্র পারাপার করতে হবে? সন্দ্বীপ দেশের অন্যতম উপকূলীয় দ্বীপ। কিন্তু ৫০ বছরের মধ্যেও কেন নিরাপদ যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি, কী লজ্জার কথা! সন্দ্বীপের সাথে আজ নিরাপদ যোগাযোগ স্থাপিত হলো। কেন এতদিন হয়নি. সেটা লজ্জার। এ লজ্জা থেকে বাঁচলাম। কলঙ্ক থেকে আজ মুক্ত হলাম।”

সোমবার দুপুরে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সমুদ্রপথে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়ায় ফেরি চলাচলের শুভ সূচনা হয়। ফেরিটি এক ঘণ্টার যাত্রা শেষে গুপ্তছড়ায় পৌঁছালে হাজার খানেক মানুষ একে স্বাগত জানায়।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “স্বাধীনতার মাসে আপনাদের এ সুখবর দিতে পেরে আমি আনন্দিত। সন্দ্বীপের এ অগ্রযাত্রা আজ শুরু হলো, আরও সুন্দর হবে। এভাবে সব অঞ্চলের সুষম উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।”

নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নই ফলপ্রসূ হবে না যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ উন্নত না হয়। এখানে ফেরি চলাচলের আগে নৌঘাট দখলমুক্ত করতে হয়েছে। সমুদ্র উপকূল হওয়ায় ফেরি চালু করা দুরূহ ছিল।” তিনি আরও বলেন, “এই ফেরি চালুর মূল কৃতিত্ব আমাদের প্রধান উপদেষ্টার। গত অগাস্টে প্রথম উনাকে মহিলাদের কাদা মাটি পেরিয়ে পারাপারের কথা বলি।”

সন্দ্বীপের সন্তান, সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “এই ফেরি চালু করার মূল কৃতিত্ব প্রধান উপদেষ্টার। গত অগাস্টে আমি উনাকে মহিলাদের কাদা মাটি পেরিয়ে পারাপারের কথা বলি। তিনি বলেন, এটা হতে পারে না। অবশ্যই সমাধান করতে হবে। এটি একটি দুরূহ প্রকল্প কারণ বাংলাদেশে সামুদ্রিক ফেরি চলাচলের অভিজ্ঞতা নেই।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

“সন্দ্বীপের লজ্জা থেকে আজ বাঁচলাম: ইউনুস”

প্রকাশিত : ০৪:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিকে ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “সন্দ্বীপের মানুষ এতদিন কাদা মাড়িয়ে ডিঙি নৌকায় আর বোটে করে কেন সমুদ্র পারাপার করতে হবে? সন্দ্বীপ দেশের অন্যতম উপকূলীয় দ্বীপ। কিন্তু ৫০ বছরের মধ্যেও কেন নিরাপদ যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি, কী লজ্জার কথা! সন্দ্বীপের সাথে আজ নিরাপদ যোগাযোগ স্থাপিত হলো। কেন এতদিন হয়নি. সেটা লজ্জার। এ লজ্জা থেকে বাঁচলাম। কলঙ্ক থেকে আজ মুক্ত হলাম।”

সোমবার দুপুরে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সমুদ্রপথে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়ায় ফেরি চলাচলের শুভ সূচনা হয়। ফেরিটি এক ঘণ্টার যাত্রা শেষে গুপ্তছড়ায় পৌঁছালে হাজার খানেক মানুষ একে স্বাগত জানায়।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “স্বাধীনতার মাসে আপনাদের এ সুখবর দিতে পেরে আমি আনন্দিত। সন্দ্বীপের এ অগ্রযাত্রা আজ শুরু হলো, আরও সুন্দর হবে। এভাবে সব অঞ্চলের সুষম উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।”

নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নই ফলপ্রসূ হবে না যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ উন্নত না হয়। এখানে ফেরি চলাচলের আগে নৌঘাট দখলমুক্ত করতে হয়েছে। সমুদ্র উপকূল হওয়ায় ফেরি চালু করা দুরূহ ছিল।” তিনি আরও বলেন, “এই ফেরি চালুর মূল কৃতিত্ব আমাদের প্রধান উপদেষ্টার। গত অগাস্টে প্রথম উনাকে মহিলাদের কাদা মাটি পেরিয়ে পারাপারের কথা বলি।”

সন্দ্বীপের সন্তান, সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “এই ফেরি চালু করার মূল কৃতিত্ব প্রধান উপদেষ্টার। গত অগাস্টে আমি উনাকে মহিলাদের কাদা মাটি পেরিয়ে পারাপারের কথা বলি। তিনি বলেন, এটা হতে পারে না। অবশ্যই সমাধান করতে হবে। এটি একটি দুরূহ প্রকল্প কারণ বাংলাদেশে সামুদ্রিক ফেরি চলাচলের অভিজ্ঞতা নেই।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।