শুধুমাত্র গাজীপুরেই নয়, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড স্কিন হেলথ ডে নিয়ে বড় পরিসরে কোনো আয়োজন দেখা গিয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, চর্মরোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি আর কার্যকরী উদ্যোগই হতে পারে এ নীরব মহামারী থেকে মুক্তি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (চর্ম ও যৌন), ডা. সৈয়দা ফাতেহা নূরের উদ্যোগে ইন্টারন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের অডিটোরিয়াম-৪ এ এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ওয়ার্ল্ড স্কিন হেলথ ডে উদযাপন করা হয়।
আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের চর্ম বা স্কিন স্বাস্থ্য উদ্বিগ্নতা নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ চিকিৎসক সমাজকে বাস্তবিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা। প্রায় সবাই জানেন স্ক্যাবিস এমন এক চর্মরোগ যা বিশ্বের বেশ কিছু উন্নত দেশসহ বর্তমান বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির অন্যতম কারণ। স্ক্যাবিসের মতো চর্মরোগ মানসিক ভারসাম্যহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ, এমনকি আদরের সন্তান হতে পারে বিকলাঙ্গ।
গবেষণা বলছে, বর্তমানে দেশে প্রতি ৩ জনের একজন চর্মরোগে আক্রান্ত, যা গবেষণা মঞ্চে নিশ্চিতভাবেই এক আতঙ্কজনক এবং ভয়ানক মহামারী অবস্থান।
অন্যদিকে ম্যালাজমা আজ শুধুই এক চর্মরোগ নয়, এ সমস্যা মানুষের স্কিন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকেও করে তুলছে বিষাদগ্রস্ত।
ইন্টারন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (চর্ম ও যৌন) ডা. সৈয়দা ফাতেহা নূর বলেন, ভাবতে পারেন আপনার সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যে মা এই ম্যালাজমা রোগে আক্রান্ত হন সেই মাকেই হতে হয় পারিবারিক বিচ্ছেদের শিকার।
তিনি বলেন, হয়তো আজ এমন ঘটনার আনুপাতিক হার কম দেখে নজরে আসছে না, কিন্ত এর ব্যাপকতা এতটাই বিশাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কেবল একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই উপলব্ধি করতে পারেন।
তিনি বলেন, আজকের আয়োজন এই উপলব্ধি জাগরণের উদ্দেশ্যে। চর্মরোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি আর কার্যকরী উদ্যোগই হতে পারে এ নীরব মহামারী থেকে মুক্তি।