বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চীনা ভাষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ এডুকেশন অ্যান্ড কো-অপারেশন (সিএলইসি)। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা চুক্তি করতে আগ্রহ জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে সিএলইসির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে দুই দেশের উচ্চশিক্ষা, ভাষা ও সংস্কৃতিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিএলইসির ডেপুটি ডিরেক্টর কিয়ান তিয়ানকি। তিনি জানান, চীনের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বব্যাপী চীনা ভাষার চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে ১৯০টি দেশে চীনা ভাষা পড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যেও চীনা ভাষা শেখার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। এ ভাষায় দক্ষতা অর্জন শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং উচ্চ বেতনের চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে।

কিয়ান তিয়ানকি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চীনা ভাষা মেজর কোর্স চালু করার উদ্যোগ তারা দেখতে চান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে চীনা ভাষা শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। একইসঙ্গে সংস্কৃতি বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় চীনা ভাষা শিক্ষা যুক্ত করার প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে বৃত্তির সুযোগ বাড়ানো, যৌথ ডিগ্রি কার্যক্রম চালু করা, যৌথ গবেষণা পরিচালনা এবং চীনে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীনসহ কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডেস্ক রিপোর্ট 























