বাগেরহাটের বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়ে সেটি সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাগেরহাট জেলার সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এ অভিযান পরিচালনা ও জরিমানার আদেশ দেন।
সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভেজাল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবাড়ি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড অ্যালমন্ড স্কিন ময়েশ্চারাইজিং, লিহান গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার, ও মোড়কবিহীন সাবান তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়।

শরিফা সুলতানা বলেন, তদন্তে জানা যায়, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমোদন নিয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এ সব ভেজাল ও অননুমোদিত পণ্য উৎপাদন করছিলেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া পণ্যের মোড়কজাতকরণ ও মানহীন পণ্য তৈরি করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় জরিমানা করা হয়েছে এবং ভেজাল পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এবং ভেজাল রোধে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, অলিফ কুমার নামের এক ব্যক্তি বিসিক শিল্প এলাকায় টিনের ফ্যাক্টরির জন্য একটি প্লট ইজারা নিয়ে সেটি ভাড়া দিয়েছিলেন মিজানুর রহমানকে। তবে অভিযানের সময় মিজানুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুজন কর্মচারী। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য শ্রমিকরা আগেই পালিয়ে গেছে।
বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার বলেন, বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্যের বাইরে আরও অনেক অননুমোদিত পণ্য তৈরি করছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসনের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল, যার ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। আমি আশা করি, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং ভোক্তাদের নিরাপদ পণ্য ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিবে। পাশাপাশি, আশেপাশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও এ থেকে শিক্ষা নেবে। ভবিষ্যতে বিসিকে যেন কেউ ভেজাল ও মানহীন পণ্য তৈরি করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 























