ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গলাচিপায় পানপট্টিতে সেতু ভেঙে দুই ইউনিয়নে যাতায়াতে দুর্ভোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি খালের ওপর দুই ইউনিয়নের সংযোগকারী লোহার সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। সেতু মেরামত না হওয়ায় পানপট্টি ও ও সদর এই দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সেতুটির মাঝ বরাবর ধসে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রতিদিন শত শত পথচারী, শিক্ষার্থী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গলাচিপা কার্যালয় সূত্র জানায়, গলাচিপা সদর ও পানপট্টি ইউনিয়নের সাথে সরসরি যাতায়াতের জন্য ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে পানপট্টি খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পুরোনো লোহার সেতুর মালামাল দিয়ে তৎকালীন সময়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। লোহার ভিমের ওপর ঢালাই দিয়ে নির্মিত হয়। এর পর এই সেতুটি আর সংস্কার কাজ হয়নি।


প্রায় দুই বছর আগে ইট,বালু বোঝাই একটি ট্রলি অতিক্রমকালে সেতুর মাঝ বরাবরে ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুই ইউনিয়নের সেতু এলাকার কিছু মানুষ অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই ভেঙে পড়া সেতু দিয়ে চলঅছর করছে।
স্থানীয় পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ হোসাইন জানান, বহুদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে মানুষজন যাতায়াত করছে।
পানপট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, নানান বাধা পেরিয়ে গলাচিপা উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে এই সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিলেন।কিন্তু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। এতে করে প্রতিদিন পথচারী ও হাসপাতালগামী রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।


সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয় দোকানি হালিম পাহলান বলেন, ‘এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। এখন ভাঙা অবস্থার কারণে হেঁটে পার হতেও ভয় লাগে। এটি দ্রুত সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণ করা খুবই জরুরি।’
গলাচিপা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে সেতুটি পুনর্র্নিমাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গলাচিপায় পানপট্টিতে সেতু ভেঙে দুই ইউনিয়নে যাতায়াতে দুর্ভোগ

প্রকাশিত : ০৫:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি খালের ওপর দুই ইউনিয়নের সংযোগকারী লোহার সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। সেতু মেরামত না হওয়ায় পানপট্টি ও ও সদর এই দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সেতুটির মাঝ বরাবর ধসে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রতিদিন শত শত পথচারী, শিক্ষার্থী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গলাচিপা কার্যালয় সূত্র জানায়, গলাচিপা সদর ও পানপট্টি ইউনিয়নের সাথে সরসরি যাতায়াতের জন্য ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে পানপট্টি খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পুরোনো লোহার সেতুর মালামাল দিয়ে তৎকালীন সময়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। লোহার ভিমের ওপর ঢালাই দিয়ে নির্মিত হয়। এর পর এই সেতুটি আর সংস্কার কাজ হয়নি।


প্রায় দুই বছর আগে ইট,বালু বোঝাই একটি ট্রলি অতিক্রমকালে সেতুর মাঝ বরাবরে ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুই ইউনিয়নের সেতু এলাকার কিছু মানুষ অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই ভেঙে পড়া সেতু দিয়ে চলঅছর করছে।
স্থানীয় পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ হোসাইন জানান, বহুদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে মানুষজন যাতায়াত করছে।
পানপট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, নানান বাধা পেরিয়ে গলাচিপা উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে এই সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিলেন।কিন্তু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। এতে করে প্রতিদিন পথচারী ও হাসপাতালগামী রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।


সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয় দোকানি হালিম পাহলান বলেন, ‘এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। এখন ভাঙা অবস্থার কারণে হেঁটে পার হতেও ভয় লাগে। এটি দ্রুত সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণ করা খুবই জরুরি।’
গলাচিপা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে সেতুটি পুনর্র্নিমাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’