ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

সনিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (ইপিজেড) সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে মূল ফটকে বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পরে তারা অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো আইনসম্মত দাবি জানাতে ও কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও শ্রমিকরা তা মানেননি।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৭ নভেম্বর শ্রমিকদের উত্থাপিত দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত জানালেও তারা কাজে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ অব্যাহত রাখেন। শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘট, জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর থেকে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

অন্যদিকে, সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। পরে তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানালেও দাবি পূরণের বদলে কারখানা বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রহমান নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের ১১ দফা দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা খুবই দুঃখজনক। আমরা ন্যায্য দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তা মানার বদলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দাবি মেনে কারখানা না খুললে আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।

কারখানার আরেক শ্রমিক সুলতানা বেগম বলেন, আমরা আমাদের দাবির জন্য আন্দোলন করেছি, কিন্তু দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমরা এই কারখানায় চাকরি করে পরিবার চালাই কারখানা বন্ধ হলে কীভাবে পরিবার চলবে?

উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, সনিক কারখানা নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ অনুকূলে এলে কারখানা খুলে দেওয়া হবে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সনিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশিত : ১০:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (ইপিজেড) সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে মূল ফটকে বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পরে তারা অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো আইনসম্মত দাবি জানাতে ও কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও শ্রমিকরা তা মানেননি।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৭ নভেম্বর শ্রমিকদের উত্থাপিত দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত জানালেও তারা কাজে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ অব্যাহত রাখেন। শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘট, জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর থেকে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

অন্যদিকে, সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। পরে তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানালেও দাবি পূরণের বদলে কারখানা বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রহমান নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের ১১ দফা দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা খুবই দুঃখজনক। আমরা ন্যায্য দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তা মানার বদলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দাবি মেনে কারখানা না খুললে আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।

কারখানার আরেক শ্রমিক সুলতানা বেগম বলেন, আমরা আমাদের দাবির জন্য আন্দোলন করেছি, কিন্তু দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমরা এই কারখানায় চাকরি করে পরিবার চালাই কারখানা বন্ধ হলে কীভাবে পরিবার চলবে?

উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, সনিক কারখানা নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ অনুকূলে এলে কারখানা খুলে দেওয়া হবে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।