ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

স্থায়ী হতে বিদেশি কর্মীদের সময়সীমা বাড়ছে যুক্তরাজ্যে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে নিয়মিত অভিবাসীদেরও থাকতে হতে পারে দীর্ঘ অপেক্ষায়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেছেন, নিয়মিত অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ ২০ বছর অপেক্ষায় রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার।

নিয়মিত অভিবাসন কমানোর লক্ষ্যেই এমন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছেন শাবানা মাহমুদ। কয়েক দিন আগে অনিয়মিত অভিবাসনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তনের কথা বলেন তিনি।

অনিয়মিতের পাশাপাশি নিয়মিত অভিবাসনের ওপর এমন কঠোর পদক্ষেপের কিছুটা জনমত জরিপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটিতে অভিবাসনবিরোধী নেতা নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে চলেছে। আবার অতিরিক্ত চাপের মুখে থাকা দেশটির সরকারি সেবার উপর চাপ কমানোর একটি প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই উদ্যোগকে।

অভিবাসী পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেছেন, এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা অর্জন করতে হয়।

চলতি বছরের মে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে যোগ্যতার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার কথা ভাবা হচ্ছে।

মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত অভিবাসনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছেন এবং ১২ মাসের বেশি সময় ধরে সুবিধা নিয়েছেন, তাদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে আবেদন করার আগে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর যারা অনিয়মিত পথে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় হবে ৩০ বছর।

তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের পর স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যা ভিসা নিয়ে আসা কিছু ‘কম যোগ্যতাসম্পন্ন’ কর্মী এবং যারা ১২ মাসের কম সময় ধরে সুবিধা নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অপেক্ষার সীমা ১৫ বছর।

এই পরিকল্পনা আগামী ১২ সপ্তাহ ধরে যাচাই-বাছাই করা হবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে। তবে, ডাক্তার ও নার্সদের মতো সরকারি সেবাখাতের কর্মীদের ক্ষেত্রে সময়সীমা রাখা হয়েছে পাঁচ বছর। উচ্চ আয় যাদের, তারা তিন বছর পর যোগ্য হবেন বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শাবানা মাহমুদ বলেছেন, অভিবাসন ‘‘সবসময় ব্রিটেনের গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ’’ হয়ে থাকবে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসনের মাত্রা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সরকার।

সরকার অনুমান করছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন বাড়ার কারণে ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ আইনগতভাবে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হবেন।

স্থায়ী হতে বিদেশি কর্মীদের সময়সীমা বাড়ছে যুক্তরাজ্যে

প্রকাশিত : ০৪:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে নিয়মিত অভিবাসীদেরও থাকতে হতে পারে দীর্ঘ অপেক্ষায়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেছেন, নিয়মিত অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ ২০ বছর অপেক্ষায় রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার।

নিয়মিত অভিবাসন কমানোর লক্ষ্যেই এমন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছেন শাবানা মাহমুদ। কয়েক দিন আগে অনিয়মিত অভিবাসনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তনের কথা বলেন তিনি।

অনিয়মিতের পাশাপাশি নিয়মিত অভিবাসনের ওপর এমন কঠোর পদক্ষেপের কিছুটা জনমত জরিপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটিতে অভিবাসনবিরোধী নেতা নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে চলেছে। আবার অতিরিক্ত চাপের মুখে থাকা দেশটির সরকারি সেবার উপর চাপ কমানোর একটি প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই উদ্যোগকে।

অভিবাসী পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেছেন, এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা অর্জন করতে হয়।

চলতি বছরের মে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে যোগ্যতার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার কথা ভাবা হচ্ছে।

মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত অভিবাসনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছেন এবং ১২ মাসের বেশি সময় ধরে সুবিধা নিয়েছেন, তাদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে আবেদন করার আগে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর যারা অনিয়মিত পথে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় হবে ৩০ বছর।

তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের পর স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যা ভিসা নিয়ে আসা কিছু ‘কম যোগ্যতাসম্পন্ন’ কর্মী এবং যারা ১২ মাসের কম সময় ধরে সুবিধা নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অপেক্ষার সীমা ১৫ বছর।

এই পরিকল্পনা আগামী ১২ সপ্তাহ ধরে যাচাই-বাছাই করা হবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে। তবে, ডাক্তার ও নার্সদের মতো সরকারি সেবাখাতের কর্মীদের ক্ষেত্রে সময়সীমা রাখা হয়েছে পাঁচ বছর। উচ্চ আয় যাদের, তারা তিন বছর পর যোগ্য হবেন বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শাবানা মাহমুদ বলেছেন, অভিবাসন ‘‘সবসময় ব্রিটেনের গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ’’ হয়ে থাকবে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসনের মাত্রা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সরকার।

সরকার অনুমান করছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন বাড়ার কারণে ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ আইনগতভাবে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হবেন।