ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা আন্দোলনে নামছেন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি এবং দীর্ঘদিনের বকেয়া দাবি অনুযায়ী নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ৫০ বছরের বঞ্চনা, পদসোপান বৈষম্য এবং প্রশাসনিক জটিলতার প্রতিবাদে তারা আগামী সপ্তাহ থেকে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নিলে বার্ষিক পরীক্ষার কক্ষ তদারকি, খাতা মূল্যায়ন, ফল প্রস্তুত করা ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বর্জনের পাশাপাশি ঢাকায় মহাসমাবেশ ও সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে যাবে তারা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছেন না। নবম গ্রেড পাওয়ার কথা থাকলেও ৫০ বছর ধরে তারা দশম গ্রেডেই রয়েছেন। এর বিপরীতে একই গ্রেডের সমাজসেবা কর্মকর্তা, সাব-রেজিস্টার, পুলিশ ইন্সপেক্টরসহ অসংখ্য পদ গত এক দশকে নবম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বদলযোগ্য পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদটিও ১৯৯৬ সালে নবম গ্রেডে উন্নীত হয়। অথচ সহকারী শিক্ষক পদটি এখনও দশম গ্রেডেই আটকে আছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে সরকার তা দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় তিনি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেশকিছু দাবির কথাও জানান। সেগুলো হচ্ছে — সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড (ক্যাডার) ধরে চার থেকে ছয় স্তরের পদসোপান প্রবর্তন করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

অন্যদিকে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭ হাজার ৯০০ শিক্ষক। অর্থাৎ শূন্যপদ রয়েছে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২৭ শতাংশ শূন্যপদের শিক্ষক দিয়ে বাকি শিক্ষকদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বাধ্য করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে পিএসসির নন-ক্যাডার বিসিএস উত্তীর্ণদের মাধ্যমেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেকই ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার তালিকা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা আন্দোলনে নামছেন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি এবং দীর্ঘদিনের বকেয়া দাবি অনুযায়ী নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ৫০ বছরের বঞ্চনা, পদসোপান বৈষম্য এবং প্রশাসনিক জটিলতার প্রতিবাদে তারা আগামী সপ্তাহ থেকে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নিলে বার্ষিক পরীক্ষার কক্ষ তদারকি, খাতা মূল্যায়ন, ফল প্রস্তুত করা ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বর্জনের পাশাপাশি ঢাকায় মহাসমাবেশ ও সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে যাবে তারা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছেন না। নবম গ্রেড পাওয়ার কথা থাকলেও ৫০ বছর ধরে তারা দশম গ্রেডেই রয়েছেন। এর বিপরীতে একই গ্রেডের সমাজসেবা কর্মকর্তা, সাব-রেজিস্টার, পুলিশ ইন্সপেক্টরসহ অসংখ্য পদ গত এক দশকে নবম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বদলযোগ্য পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদটিও ১৯৯৬ সালে নবম গ্রেডে উন্নীত হয়। অথচ সহকারী শিক্ষক পদটি এখনও দশম গ্রেডেই আটকে আছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে সরকার তা দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় তিনি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেশকিছু দাবির কথাও জানান। সেগুলো হচ্ছে — সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড (ক্যাডার) ধরে চার থেকে ছয় স্তরের পদসোপান প্রবর্তন করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

অন্যদিকে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭ হাজার ৯০০ শিক্ষক। অর্থাৎ শূন্যপদ রয়েছে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২৭ শতাংশ শূন্যপদের শিক্ষক দিয়ে বাকি শিক্ষকদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বাধ্য করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে পিএসসির নন-ক্যাডার বিসিএস উত্তীর্ণদের মাধ্যমেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেকই ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার তালিকা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।