ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

দিল্লিতে সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের হোম অফিস চালু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ঘটনায় সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাকি কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির রাজধানীতে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সোমবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশনের (সিএকিউএম) নির্ধারিত গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (গ্র্যাপ-৩) আওতায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

দিল্লির সরকার ইতোমধ্যে রাজধানীতে অবস্থিত সব স্কুলের জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; যার মধ্যে অত্যন্ত খারাপ বায়ুমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাইরে খেলতে না দেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।

গুরু তেগ বাহাদুরের ৩৫০তম শহীদী পুরব উপলক্ষে দিল্লি সরকার মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় সেদিন সরকারি দপ্তরে উপস্থিতি এমনিতেই কম থাকার কথা ছিল।

দিল্লির গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের ওপর নির্ভর করে যে পর্যায়ের দূষণ শনাক্ত করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শহরটিতে কতটা কার্যক্রম সামলানো যাবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে শীতকালে দেশটির এই রাজধানী শহরে বায়ুদূষণ ভয়াবহ আকারে দেখা যাচ্ছে।

দিল্লির বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) রাজধানীর সব এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর অফিসের কার্যক্রম অর্ধেক কর্মী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশ জারি করেছে। গড় বায়ুমান সূচক (একিউআই) ও আবহাওয়ার অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি বিভিন্ন দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

ভারতের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একিউআই সূচক সাধারণত ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-১ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এছাড়া একিউআই ৩০১ থেকে ৪০০ হলে গ্র্যাপ-২, ৪০১ থেকে ৪৫০ হলে গ্র্যাপ-৩ কার্যকর করা হয়। একিউআই ৪৫১-এর বেশি হলে গ্র্যাপ-৪ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

নয়াদিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলেছেন, সরকার সব দূষণ নিয়ন্ত্রণে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারির মাধ্যমে গ্র্যাপ-৩ প্রয়োগ করছে।

দিল্লিতে সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের হোম অফিস চালু

প্রকাশিত : ১০:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ঘটনায় সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাকি কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির রাজধানীতে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সোমবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশনের (সিএকিউএম) নির্ধারিত গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (গ্র্যাপ-৩) আওতায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

দিল্লির সরকার ইতোমধ্যে রাজধানীতে অবস্থিত সব স্কুলের জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; যার মধ্যে অত্যন্ত খারাপ বায়ুমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাইরে খেলতে না দেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।

গুরু তেগ বাহাদুরের ৩৫০তম শহীদী পুরব উপলক্ষে দিল্লি সরকার মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় সেদিন সরকারি দপ্তরে উপস্থিতি এমনিতেই কম থাকার কথা ছিল।

দিল্লির গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের ওপর নির্ভর করে যে পর্যায়ের দূষণ শনাক্ত করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শহরটিতে কতটা কার্যক্রম সামলানো যাবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে শীতকালে দেশটির এই রাজধানী শহরে বায়ুদূষণ ভয়াবহ আকারে দেখা যাচ্ছে।

দিল্লির বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) রাজধানীর সব এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর অফিসের কার্যক্রম অর্ধেক কর্মী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশ জারি করেছে। গড় বায়ুমান সূচক (একিউআই) ও আবহাওয়ার অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি বিভিন্ন দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

ভারতের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একিউআই সূচক সাধারণত ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-১ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এছাড়া একিউআই ৩০১ থেকে ৪০০ হলে গ্র্যাপ-২, ৪০১ থেকে ৪৫০ হলে গ্র্যাপ-৩ কার্যকর করা হয়। একিউআই ৪৫১-এর বেশি হলে গ্র্যাপ-৪ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

নয়াদিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলেছেন, সরকার সব দূষণ নিয়ন্ত্রণে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারির মাধ্যমে গ্র্যাপ-৩ প্রয়োগ করছে।