ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল হবে: চসিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং সেনাবাহিনী মিলে চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়তে যাচ্ছে। এছাড়া কাজীর দেউড়ী শিশু পার্কটিও উন্মুক্ত হবে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ৭ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন মেয়র।

সভায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় চসিক মালিকানাধীন কালুরঘাট এফআইডিসি রোডস্থ ৮ একর জায়গা ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদানের বিনিময়ে চসিক দখলীয় দামপাড়াস্থ আলমশাহ কাটগড় মৌজার ২.৮৬১২ একর জায়গা সেনাবাহিনী কর্তৃক চসিক বরাবর ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা এবং কাজীর দেউড়ী শিশু পার্কের ৩ একর জায়গা শুধুমাত্র পার্ক হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্ত ৩০ বছরের জন্য চসিক বরাবরে বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদন হয়।

সভায় আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি নগরীর ১২ হাজার কুকুরকে ভ্যাক্সিন দেয়া হবে জানান মেয়র। মেয়র বলেন, কাজীর দেউরী শিশু পার্ক উন্মুক্ত হবে, এটা দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসীর একটি স্বপ্ন ছিল। পার্কটি কোনো স্থাপনা ছাড়া সম্পূর্ণ সবুজ পার্ক হিসেবেই গড়ে তোলা হবে- যেখানে মানুষ হাঁটতে পারবে, শিশুদের জন্য বিনোদনের সুযোগ থাকবে। পার্ক মানে পার্কই থাকবে। এখানে কোনো বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ করা হবে না।

আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সেনাবাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হাসপাতালগুলো নির্মাণ করেছে, সেগুলো মান ও ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত উন্নত। চট্টগ্রামে এমন একটি হাসপাতাল সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত হাসপাতালে সাধারণ মানুষ স্বল্প ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে এমন শর্তে সমঝোতা হয়েছে।

এছাড়া সভায় কালুরঘাট এলাকার জমি ব্যবহার করে আইসিটি ভবন, বড় আকারের বাণিজ্যিক মার্কেট ও সম্ভাব্য ‘চায়না টাউন’ ধাঁচের প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন মেয়র। তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা নগর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ৩টি বিদ্যালয় অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। প্রতিষ্ঠান ৩টি হল পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জানালখিল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষাখাতের বিষয়ে মেয়র বলেন, আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নগরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন, তা বর্তমানে পর্যাপ্ত নয়। এ কারণেই রেলওয়ে, চট্টগ্রাম বন্দর, তেল কোম্পানি, বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্য রাজস্ব আদায়ে চসিক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হচ্ছে, তা প্রকৃত পাওনার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত কর নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বছরে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা। অথচ অভিযোগ রয়েছে, বন্দর এলাকায় প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় হচ্ছে, যা বছরে প্রায় ৭২০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তার ন্যায্য পৌর কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সড়ক অবকাঠামো প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরীর সড়কগুলোর নকশাগত ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ টন হলেও বন্দরের ভারী যানবাহন নিয়মিতভাবে ২০ থেকে ৩৫ টন পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন বহন করে চলাচল করছে। অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদিত সীমার তিনগুণেরও বেশি ওজন নিয়ে লরি সড়ক ব্যবহার করায় সড়কের স্থায়িত্ব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, যে সড়কের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল তিন থেকে পাঁচ বছর হওয়ার কথা, অতিরিক্ত ওজনবাহী যান চলাচলের কারণে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রতি বছর সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বন্দর থেকে সঠিক পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিশ্চিত করা গেলে সড়ক সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, যা শেষ পর্যন্ত বন্দর কার্যক্রমকেও আরও গতিশীল করবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রাইমারি সড়কসমূহের উন্নয়ন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত ৩৬টি খালসহ অন্যান্য খাল রক্ষণাবেক্ষণ, পুনঃখনন, যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম শহরেরর ২১টি খাল পুনঃখনন, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম শহরে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ জাংশনে আন্ডারপাস কাম কমার্শিয়াল স্পেস নির্মাণের সম্ভাবনার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল হবে: চসিক

প্রকাশিত : ০১:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং সেনাবাহিনী মিলে চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়তে যাচ্ছে। এছাড়া কাজীর দেউড়ী শিশু পার্কটিও উন্মুক্ত হবে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ৭ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন মেয়র।

সভায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় চসিক মালিকানাধীন কালুরঘাট এফআইডিসি রোডস্থ ৮ একর জায়গা ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদানের বিনিময়ে চসিক দখলীয় দামপাড়াস্থ আলমশাহ কাটগড় মৌজার ২.৮৬১২ একর জায়গা সেনাবাহিনী কর্তৃক চসিক বরাবর ৯৯ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা এবং কাজীর দেউড়ী শিশু পার্কের ৩ একর জায়গা শুধুমাত্র পার্ক হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্ত ৩০ বছরের জন্য চসিক বরাবরে বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদন হয়।

সভায় আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি নগরীর ১২ হাজার কুকুরকে ভ্যাক্সিন দেয়া হবে জানান মেয়র। মেয়র বলেন, কাজীর দেউরী শিশু পার্ক উন্মুক্ত হবে, এটা দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসীর একটি স্বপ্ন ছিল। পার্কটি কোনো স্থাপনা ছাড়া সম্পূর্ণ সবুজ পার্ক হিসেবেই গড়ে তোলা হবে- যেখানে মানুষ হাঁটতে পারবে, শিশুদের জন্য বিনোদনের সুযোগ থাকবে। পার্ক মানে পার্কই থাকবে। এখানে কোনো বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ করা হবে না।

আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সেনাবাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হাসপাতালগুলো নির্মাণ করেছে, সেগুলো মান ও ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত উন্নত। চট্টগ্রামে এমন একটি হাসপাতাল সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত হাসপাতালে সাধারণ মানুষ স্বল্প ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে এমন শর্তে সমঝোতা হয়েছে।

এছাড়া সভায় কালুরঘাট এলাকার জমি ব্যবহার করে আইসিটি ভবন, বড় আকারের বাণিজ্যিক মার্কেট ও সম্ভাব্য ‘চায়না টাউন’ ধাঁচের প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন মেয়র। তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা নগর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ৩টি বিদ্যালয় অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। প্রতিষ্ঠান ৩টি হল পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জানালখিল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষাখাতের বিষয়ে মেয়র বলেন, আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নগরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন, তা বর্তমানে পর্যাপ্ত নয়। এ কারণেই রেলওয়ে, চট্টগ্রাম বন্দর, তেল কোম্পানি, বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্য রাজস্ব আদায়ে চসিক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হচ্ছে, তা প্রকৃত পাওনার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত কর নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বছরে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা। অথচ অভিযোগ রয়েছে, বন্দর এলাকায় প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় হচ্ছে, যা বছরে প্রায় ৭২০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তার ন্যায্য পৌর কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সড়ক অবকাঠামো প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরীর সড়কগুলোর নকশাগত ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ টন হলেও বন্দরের ভারী যানবাহন নিয়মিতভাবে ২০ থেকে ৩৫ টন পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন বহন করে চলাচল করছে। অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদিত সীমার তিনগুণেরও বেশি ওজন নিয়ে লরি সড়ক ব্যবহার করায় সড়কের স্থায়িত্ব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, যে সড়কের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল তিন থেকে পাঁচ বছর হওয়ার কথা, অতিরিক্ত ওজনবাহী যান চলাচলের কারণে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রতি বছর সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বন্দর থেকে সঠিক পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিশ্চিত করা গেলে সড়ক সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, যা শেষ পর্যন্ত বন্দর কার্যক্রমকেও আরও গতিশীল করবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রাইমারি সড়কসমূহের উন্নয়ন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত ৩৬টি খালসহ অন্যান্য খাল রক্ষণাবেক্ষণ, পুনঃখনন, যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম শহরেরর ২১টি খাল পুনঃখনন, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম শহরে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ জাংশনে আন্ডারপাস কাম কমার্শিয়াল স্পেস নির্মাণের সম্ভাবনার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি