পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার এনামুল ও ইতি দম্পতি তাদের ১১ মাস বয়সী ছেলে সাদকে নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বসে আছেন। সাদের স্যালাইন চলছিল, বাবা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে দিচ্ছেন আর মা তার হাতে বেলুন দিয়ে খেলা দেখাচ্ছেন। তাদের ছেলে সাদের ঈদের পরের দিন থেকে বমি ও ডায়েরিয়া।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গরম আবহাওয়ার কারণে সর্দিকাশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডায়েরিয়া ধীরে ধীরে কমে আসছে। বর্তমানে আমাদের আউটডোরেও প্রায় ২শ রোগী আসেন। যারা অল্প অসুস্থ তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। যারা বেশি অসুস্থ তারা ইনডোরে ভর্তি হন। আমাদের ওষুধ সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। বর্তমানে যেহেতু গরম আবহাওয়া, তাই হাত ধুয়ে খাওয়া। বাশি খাবার না খাওয়া এবং খাবার ঢেকে রাখা। বিনা কারণে রোদে না যাওয়া। শরীরে বেশি ঘাম হলে পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, সোমবার একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এরপর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।