ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

ফেনী ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের সৃষ্ট বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে অবিলম্বে সুস্পষ্ট রোড ম্যাপের দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ ফেনীবাসী নামের একটি নাগরিক সংগঠন।

দাবি মানা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী ও ছাগলনাইয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং ফেনী কমিউনিটির মুখপাত্র বুরহান উদ্দিন ফয়সলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, বিগত সরকার ফেনীর প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে, তার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। উপদেষ্টারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, কিন্তু কাজে তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফেনীবাসী ত্রাণ চায় না, অবিলম্বে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা চায়।

ভারতীয় পানি আগ্রাসনের ব্যাপারেও সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেন মঞ্জু। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের ঘোষণা না এলে ফেনীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, পানি সম্পদ উপদেষ্টা ও তার মন্ত্রণালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের নামে বিপুল অংকের টাকার অপচয় এবং দায়িত্ব অবহেলার জন্য উপদেষ্টা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন বলেন, মিথ্যা আশ্বাস আমরা শুনতে চাই না, আর যেন যখন তখন বন্যায় না ডুবে তার ব্যবস্থা চাই।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সাধারণ সম্পাদক ড. নিজামুদ্দিন, হাবের পরিচালক ও দাগনভুঁইয়া উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, ফেনী ফোরামের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদার, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ নাজমুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন পাটওয়ারি প্রমুখ।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেনী, কুমিল্লা,নোয়াখালীসহ এই অঞ্চলের মানুষের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের রক্ষাকবচ বল্লামুখা বাঁধ ও মুছাপুর ক্লোজার অবিলম্বে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। এই এলাকার শহর ও গ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে জলাধার উদ্ধার, পানি নিষ্কাশন লাইন তৈরি, নদী খনন ও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ১০০০ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় খরচ হয়েছে বা কী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করতে হবে। যেসব বাঁধ মেরামত হয়েছে সেগুলো ছয় মাস না যেতে ফাটলের মুখে পড়েছে। এসব কর্মকাণ্ড তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ফেনীসহ এই অঞ্চলের মানুষ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের শিকার। এর বিরুদ্ধে যথাযথ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা দাবি

প্রকাশিত : ০৮:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ফেনী ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের সৃষ্ট বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে অবিলম্বে সুস্পষ্ট রোড ম্যাপের দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ ফেনীবাসী নামের একটি নাগরিক সংগঠন।

দাবি মানা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী ও ছাগলনাইয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং ফেনী কমিউনিটির মুখপাত্র বুরহান উদ্দিন ফয়সলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, বিগত সরকার ফেনীর প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে, তার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। উপদেষ্টারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, কিন্তু কাজে তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফেনীবাসী ত্রাণ চায় না, অবিলম্বে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা চায়।

ভারতীয় পানি আগ্রাসনের ব্যাপারেও সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেন মঞ্জু। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের ঘোষণা না এলে ফেনীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, পানি সম্পদ উপদেষ্টা ও তার মন্ত্রণালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের নামে বিপুল অংকের টাকার অপচয় এবং দায়িত্ব অবহেলার জন্য উপদেষ্টা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন বলেন, মিথ্যা আশ্বাস আমরা শুনতে চাই না, আর যেন যখন তখন বন্যায় না ডুবে তার ব্যবস্থা চাই।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সাধারণ সম্পাদক ড. নিজামুদ্দিন, হাবের পরিচালক ও দাগনভুঁইয়া উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, ফেনী ফোরামের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদার, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ নাজমুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন পাটওয়ারি প্রমুখ।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেনী, কুমিল্লা,নোয়াখালীসহ এই অঞ্চলের মানুষের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের রক্ষাকবচ বল্লামুখা বাঁধ ও মুছাপুর ক্লোজার অবিলম্বে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। এই এলাকার শহর ও গ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে জলাধার উদ্ধার, পানি নিষ্কাশন লাইন তৈরি, নদী খনন ও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ১০০০ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় খরচ হয়েছে বা কী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করতে হবে। যেসব বাঁধ মেরামত হয়েছে সেগুলো ছয় মাস না যেতে ফাটলের মুখে পড়েছে। এসব কর্মকাণ্ড তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ফেনীসহ এই অঞ্চলের মানুষ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের শিকার। এর বিরুদ্ধে যথাযথ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।