ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ৯৮ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কন্টিনজেন্সি (আকস্মিক) বাজেটের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের নিম্নমানের খাবার প্রদানের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী কলেজে অবস্থান করে সংশ্লিষ্ট সবার জবানবন্দি গ্রহণ এবং নথিপত্র সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম। অভিযোগ ছিল কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে লেইস প্রজেক্টের স্টাডি ট্যুরে কক্সবাজার ভ্রমণ না করেই অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন প্রকার প্রকল্পের ট্রেনিং কোর্সে ফুডিংয়ের নামে খাবার সরবরাহে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেনিং সেশনে নিজে রিসার্চ পারসনের নামে সম্মানি নেওয়া, পরিবহন এবং নানা প্রকার অভ্যন্তরীণ কমিটির বরাদ্দকৃত টাকা ও ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় টানা ৩ বছর কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিংয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালে অধ্যক্ষ রিজিয়া সুলতানা হোস্টেলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ৪টি রুমের ১২টি সিট দখল করে বসবাস করছেন।

অভিযানের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযান টিম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই করা হয় এবং শিক্ষক, কর্মচারীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যাবলি পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে অভিযান টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দুদকের অভিযান ও অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ রিজিয়া সুলতানা বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। দুদকের অভিযান টিমের কাছে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সরবরাহ করেছি।

 

ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

প্রকাশিত : ০৮:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কন্টিনজেন্সি (আকস্মিক) বাজেটের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের নিম্নমানের খাবার প্রদানের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী কলেজে অবস্থান করে সংশ্লিষ্ট সবার জবানবন্দি গ্রহণ এবং নথিপত্র সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম। অভিযোগ ছিল কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে লেইস প্রজেক্টের স্টাডি ট্যুরে কক্সবাজার ভ্রমণ না করেই অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন প্রকার প্রকল্পের ট্রেনিং কোর্সে ফুডিংয়ের নামে খাবার সরবরাহে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেনিং সেশনে নিজে রিসার্চ পারসনের নামে সম্মানি নেওয়া, পরিবহন এবং নানা প্রকার অভ্যন্তরীণ কমিটির বরাদ্দকৃত টাকা ও ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় টানা ৩ বছর কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিংয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালে অধ্যক্ষ রিজিয়া সুলতানা হোস্টেলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ৪টি রুমের ১২টি সিট দখল করে বসবাস করছেন।

অভিযানের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযান টিম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই করা হয় এবং শিক্ষক, কর্মচারীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যাবলি পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে অভিযান টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দুদকের অভিযান ও অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ রিজিয়া সুলতানা বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। দুদকের অভিযান টিমের কাছে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সরবরাহ করেছি।