ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

দেবীদ্বারে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ১,৫৩০ কৃষকের মাঝে বীজ বিতরণ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবীদ্বারে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন শাকসবজি ও ধানের বীজ সংকটে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের ১,০৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য বিনামূল্যে ধান বীজ বরাদ্দ এসেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫০০। অন্যদিকে ৬৫০ জন কৃষক পেয়েছেন সরিষা, গম, ভুট্টা, বাদাম, সূর্যমুখী, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বীজ ও সার। গত বছরের ২ হাজার ৫০০ জনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।


বীজ সংকট নিবারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সহায়তার আশ্বাস দেন। তার উদ্যোগেই উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে ১,৫৩০ জন কৃষকের মাঝে ধান ও বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে কৃষি প্রণোদনা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউএনও রাকিবুল ইসলাম।
কৃষক আল আমিন বলেন, ‘কথা রাখলেন ইউএনও ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম। ধান বীজের সংকট না কাটলেও শাকসবজির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’
এ বছর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪ শত কৃষককে ব্রি ধান-১০২ ও ব্রি ধান-১০৪ জাতের ৫ কেজি করে ধান বীজ, ৫০০ কৃষক-কৃষাণীকে লাউ, ধুন্দল, লালশাক, ডাটা ও ধনিয়াসহ এই পাঁচ প্রকার সবজি বীজ, ১৮০ কৃষককে পেঁয়াজের বীজ এবং ৪৫০ কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ বিতরণ করা হয়। যা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষক বাছাই থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া তদারক করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ‘দেবীদ্বারের কৃষকদের নিজস্ব পেঁয়াজ উৎপাদনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। খরিপ মৌসুমে সবজির দাম বেশি থাকায় পুষ্টি নিশ্চিত করতে কৃষকদের সবজির বীজ দেওয়া হয়েছে। ব্রি ধান-১০২ জিংকসমৃদ্ধ এবং ব্রি ধান-১০৪ প্রিমিয়াম মানের উফশী জাতের দুটিই সর্বশেষ উদ্ভাবিত ও কৃষক বীজ রাখতে পারবেন। সরিষা চাষেরও এখন উৎকৃষ্ট সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পরেও কারও বিশেষ চাহিদা থাকলে আমরা সহযোগিতার চেষ্টা করবো।’


উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ কম থাকায় বীজ সংকট তৈরি হয়। তাই উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা বীজ ব্যবহারের অগ্রগতি মনিটরিং করবো। দেবীদ্বারের কৃষি উন্নয়নে আরও কিছু পরিকল্পনা আমাদের হাতে রয়েছে, সফল হলে এই মৌসুমে দেবীদ্বারের কৃষি নতুন মাত্রা পাবে।’

দেবীদ্বারে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ১,৫৩০ কৃষকের মাঝে বীজ বিতরণ

প্রকাশিত : ০৬:১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবীদ্বারে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন শাকসবজি ও ধানের বীজ সংকটে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের ১,০৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য বিনামূল্যে ধান বীজ বরাদ্দ এসেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫০০। অন্যদিকে ৬৫০ জন কৃষক পেয়েছেন সরিষা, গম, ভুট্টা, বাদাম, সূর্যমুখী, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বীজ ও সার। গত বছরের ২ হাজার ৫০০ জনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।


বীজ সংকট নিবারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সহায়তার আশ্বাস দেন। তার উদ্যোগেই উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে ১,৫৩০ জন কৃষকের মাঝে ধান ও বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে কৃষি প্রণোদনা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউএনও রাকিবুল ইসলাম।
কৃষক আল আমিন বলেন, ‘কথা রাখলেন ইউএনও ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক রাকিবুল ইসলাম। ধান বীজের সংকট না কাটলেও শাকসবজির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’
এ বছর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪ শত কৃষককে ব্রি ধান-১০২ ও ব্রি ধান-১০৪ জাতের ৫ কেজি করে ধান বীজ, ৫০০ কৃষক-কৃষাণীকে লাউ, ধুন্দল, লালশাক, ডাটা ও ধনিয়াসহ এই পাঁচ প্রকার সবজি বীজ, ১৮০ কৃষককে পেঁয়াজের বীজ এবং ৪৫০ কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ বিতরণ করা হয়। যা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষক বাছাই থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া তদারক করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ‘দেবীদ্বারের কৃষকদের নিজস্ব পেঁয়াজ উৎপাদনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। খরিপ মৌসুমে সবজির দাম বেশি থাকায় পুষ্টি নিশ্চিত করতে কৃষকদের সবজির বীজ দেওয়া হয়েছে। ব্রি ধান-১০২ জিংকসমৃদ্ধ এবং ব্রি ধান-১০৪ প্রিমিয়াম মানের উফশী জাতের দুটিই সর্বশেষ উদ্ভাবিত ও কৃষক বীজ রাখতে পারবেন। সরিষা চাষেরও এখন উৎকৃষ্ট সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পরেও কারও বিশেষ চাহিদা থাকলে আমরা সহযোগিতার চেষ্টা করবো।’


উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ কম থাকায় বীজ সংকট তৈরি হয়। তাই উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা বীজ ব্যবহারের অগ্রগতি মনিটরিং করবো। দেবীদ্বারের কৃষি উন্নয়নে আরও কিছু পরিকল্পনা আমাদের হাতে রয়েছে, সফল হলে এই মৌসুমে দেবীদ্বারের কৃষি নতুন মাত্রা পাবে।’