ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশি চক্রের ডাকাতি, টার্গেট প্রবাসীরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে চট্টগ্রামে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। সম্প্রতি দুবাইফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটের ঘটনায় ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চক্রটি দেশি হলেও নেতৃত্ব ও তথ্য পাচার হতো বিদেশ থেকে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ জুলাই। দুবাইফেরত মোহাম্মদ সামসু উদ্দিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে হালিশহরের সাগরপাড় লিংক রোডে যাচ্ছিলেন। পথে ডগিরখাল ব্রিজের কাছে একটি কালো মাইক্রোবাস সিএনজিটিকে গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসা তিনজন অস্ত্রধারী ডাকাত সামসুর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, টাকা ও ফোনসহ আনুমানিক ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

হালিশহর থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সাত সদস্যকে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির মালামালের বড় অংশ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে দামপাড়ার পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।

পুলিশ জানায়, দুবাই থেকেই ডাকাতদের কাছে প্রবাসী যাত্রীদের ছবি, আগমনের তারিখ ও অন্যান্য তথ্য পাঠাতো দেশীয় এক চক্র। গ্রেপ্তারকৃত সৈয়দ মজিবুল হক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করতেন প্রবাসী ফয়সালের কাছ থেকে। পরে মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আসামিদের নিয়ে দেশে ফেরা যাত্রীদের ডাকাতি করা হতো।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মনির উদ্দিন (৩৩), সৈয়দ মজিবুল হক (৪৭), মো. আলীম হাওলাদার জাবেদ (৩২), মো. হাসান (৩০), মো. রুবেল (২৭), মো. সুমন (২৬) ও মো. ইমরান মাহামুদুল ওরফে ইমন (২৫)।

ডিসি কবির জানান, প্রথমে মাইক্রোবাসের নম্বর ট্র্যাক করে সেটি পাঁচলাইশ এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। এরপর নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একে একে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবাই একে অপরের ওপর দোষ চাপালেও পরে স্বীকার করে, ডাকাতির পর ছিনতাইকৃত স্বর্ণ পাঠানিয়া গোদা এলাকার এক দোকানে বিক্রি করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ এবং দুটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মজিবুল, হাসান ও রুবেলের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাউফল-পটুাখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩কিলোমিটারে শতাধিক গর্ত

চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশি চক্রের ডাকাতি, টার্গেট প্রবাসীরা

প্রকাশিত : ১২:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে চট্টগ্রামে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। সম্প্রতি দুবাইফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটের ঘটনায় ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চক্রটি দেশি হলেও নেতৃত্ব ও তথ্য পাচার হতো বিদেশ থেকে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ জুলাই। দুবাইফেরত মোহাম্মদ সামসু উদ্দিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে হালিশহরের সাগরপাড় লিংক রোডে যাচ্ছিলেন। পথে ডগিরখাল ব্রিজের কাছে একটি কালো মাইক্রোবাস সিএনজিটিকে গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসা তিনজন অস্ত্রধারী ডাকাত সামসুর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, টাকা ও ফোনসহ আনুমানিক ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

হালিশহর থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সাত সদস্যকে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির মালামালের বড় অংশ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে দামপাড়ার পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।

পুলিশ জানায়, দুবাই থেকেই ডাকাতদের কাছে প্রবাসী যাত্রীদের ছবি, আগমনের তারিখ ও অন্যান্য তথ্য পাঠাতো দেশীয় এক চক্র। গ্রেপ্তারকৃত সৈয়দ মজিবুল হক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করতেন প্রবাসী ফয়সালের কাছ থেকে। পরে মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আসামিদের নিয়ে দেশে ফেরা যাত্রীদের ডাকাতি করা হতো।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মনির উদ্দিন (৩৩), সৈয়দ মজিবুল হক (৪৭), মো. আলীম হাওলাদার জাবেদ (৩২), মো. হাসান (৩০), মো. রুবেল (২৭), মো. সুমন (২৬) ও মো. ইমরান মাহামুদুল ওরফে ইমন (২৫)।

ডিসি কবির জানান, প্রথমে মাইক্রোবাসের নম্বর ট্র্যাক করে সেটি পাঁচলাইশ এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। এরপর নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একে একে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবাই একে অপরের ওপর দোষ চাপালেও পরে স্বীকার করে, ডাকাতির পর ছিনতাইকৃত স্বর্ণ পাঠানিয়া গোদা এলাকার এক দোকানে বিক্রি করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ এবং দুটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মজিবুল, হাসান ও রুবেলের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।