ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ব্যবসায়ী-স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:১৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যা ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বাংলামোটরে বিআইপির কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত “ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ : বিআইপির পর্যবেক্ষণ” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২২ সালে গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ ও টেকসই নগরায়ণের জন্য এলাকাভিত্তিক এফএআর মান নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যা ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

তিনি আরও বলেন, ড্যাপের সাম্প্রতিক প্রস্তাবনায় অধিকাংশ এলাকায় এফএআর ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত তলা নির্মাণের অনুমতি মিলবে, যা যানজট, জলাবদ্ধতা, আলো-বাতাস সংকট ও ইউটিলিটি সেবায় মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে। খিলক্ষেত, বাড্ডা, বাসাবো-খিলগাঁও, রামপুরা ও মিরপুরসহ অনেক এলাকায় এফএআর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, অথচ পরিকল্পনাবিদদের দাবিকে উপেক্ষা করে গুলশান-বনানী ও ধানমণ্ডির মতো অভিজাত এলাকায় সামান্য কমানো হয়েছে মাত্র। এতে ফার মানের বৈষম্য আবারও জিইয়ে রাখা হয়েছে এবং প্লট মালিকদের অনার্জিত আয় বৃদ্ধি পাবে।

তবে বিআইপি সহ অনেক পরিবেশবাদী সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী কৃষিজমি, জলাভূমি ও বন্যা প্রবাহ এলাকায় উন্নয়ন বন্ধের সুপারিশকে তিনি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান সতর্ক করে বলেন, ইতোমধ্যেই দুই কোটির বেশি মানুষের চাপের মধ্যে থাকা ঢাকার জন্য এই ধরনের সংশোধনী টেকসই উন্নয়নকে আরও বিপন্ন করবে। ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সুষম জনঘনত্ব ও মানসম্মত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, কিন্তু বর্তমান সংশোধনী সেই উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এই নগরপরিকল্পনাবিদ বলেন, এবারের ড্যাপে রাজউক নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, পার্ক প্রভৃতি নাগরিক সুবিধাদি তৈরির জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছিল। কিন্তু বিগত তিন বছরে নতুন কোনো খেলার মাঠ হয়নি, এমনকি যেসব খেলার মাঠ বিভিন্ন ক্লাব দখল করে রেখেছে সেগুলো উদ্ধারেও কোন তৎপরতা দেখা যায় নি।

বিআইপির সহ সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইপির সহ সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, বিআইপির যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম,বিআইপির বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ মো. ফাহিম আবেদীন প্রমুখ।

ব্যবসায়ী-স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধন

প্রকাশিত : ০৩:১৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যা ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বাংলামোটরে বিআইপির কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত “ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ : বিআইপির পর্যবেক্ষণ” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২২ সালে গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ ও টেকসই নগরায়ণের জন্য এলাকাভিত্তিক এফএআর মান নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের চাপের কারণে বারবার ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যা ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

তিনি আরও বলেন, ড্যাপের সাম্প্রতিক প্রস্তাবনায় অধিকাংশ এলাকায় এফএআর ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত তলা নির্মাণের অনুমতি মিলবে, যা যানজট, জলাবদ্ধতা, আলো-বাতাস সংকট ও ইউটিলিটি সেবায় মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে। খিলক্ষেত, বাড্ডা, বাসাবো-খিলগাঁও, রামপুরা ও মিরপুরসহ অনেক এলাকায় এফএআর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, অথচ পরিকল্পনাবিদদের দাবিকে উপেক্ষা করে গুলশান-বনানী ও ধানমণ্ডির মতো অভিজাত এলাকায় সামান্য কমানো হয়েছে মাত্র। এতে ফার মানের বৈষম্য আবারও জিইয়ে রাখা হয়েছে এবং প্লট মালিকদের অনার্জিত আয় বৃদ্ধি পাবে।

তবে বিআইপি সহ অনেক পরিবেশবাদী সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী কৃষিজমি, জলাভূমি ও বন্যা প্রবাহ এলাকায় উন্নয়ন বন্ধের সুপারিশকে তিনি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান সতর্ক করে বলেন, ইতোমধ্যেই দুই কোটির বেশি মানুষের চাপের মধ্যে থাকা ঢাকার জন্য এই ধরনের সংশোধনী টেকসই উন্নয়নকে আরও বিপন্ন করবে। ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সুষম জনঘনত্ব ও মানসম্মত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, কিন্তু বর্তমান সংশোধনী সেই উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এই নগরপরিকল্পনাবিদ বলেন, এবারের ড্যাপে রাজউক নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, পার্ক প্রভৃতি নাগরিক সুবিধাদি তৈরির জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছিল। কিন্তু বিগত তিন বছরে নতুন কোনো খেলার মাঠ হয়নি, এমনকি যেসব খেলার মাঠ বিভিন্ন ক্লাব দখল করে রেখেছে সেগুলো উদ্ধারেও কোন তৎপরতা দেখা যায় নি।

বিআইপির সহ সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইপির সহ সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, বিআইপির যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম,বিআইপির বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ মো. ফাহিম আবেদীন প্রমুখ।