চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন বলেছেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন নিয়মে অটোরিকশা চলাচল শুরু হবে। আগের দিন লাল এবং পর দিন সবুজ রঙের অটো চলবে। ভাড়া বৃদ্ধি করলে তাদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। ১ পয়সাও ভাড়া বাড়ানো যাবে না। আমি লাইসেন্স দেব স্থানীয় চালককে মালিককে নয়।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোহসীন উদ্দীন বলেন, চাঁদপুরের মানুষ প্রতিনিয়ত যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে। শহরে বাস, সিএনজি, স্কুটার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনের কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অনেকেই ট্রাফিক আইন মানছেন না। ২০ বছর আগে এত যানবাহন ছিল না, এখন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, অথচ আমাদের পৌরসভার সড়কগুলো এখনো সঙ্কীর্ণ। তাই ট্রাফিক আইন মানতেই হবে। যানজট নিরসনে আপাতত কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন- লাল ও সবুজ রঙের অটোরিকশা পালাক্রমে চলবে। সিএনজি স্কুটার হলুদ ও সবুজ দুটি রঙে চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত উভয় রঙের সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচলে কোন বাধা থাকবে না। তবে বিশেষ বিবেচনায় হাসপাতালে রোগী পরিবহনে এসব যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে। চাঁদপুর পৌরসভার বাইরে উভয় রঙের সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় ট্রাক, লরি ও তেলের ভাউচার প্রবেশ করতে পারবে না। তবে মিনি পিকআপ প্রবেশ করতে পারবে। অন্য জেলার সিএনজিগুলো শহরের বাইরে নির্ধারিত স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা করবে। বাস অবশ্যই স্ট্যান্ডের ভেতর থেকে চলবে, কোনোভাবেই রাস্তার উপর যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুর রাকিব, চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া, চাঁদপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আশরাফ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম বাবু, ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কুমিল্লা বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. শাহ আলম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।