ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রপতির সম্মতি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন আয়োজনে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১ বার দেখা হয়েছে

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাঈমা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯-এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী এ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। পাশাপাশি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য বর্তমান আইন মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে মনোনীত বা অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর।

চিঠিতে অনুষ্ঠানের সময়সূচি ও কর্মসূচিসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিবের দপ্তরে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করার নির্দেশ‌ও দেওয়া হয়েছে।

বেরোবি রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, প্রথম সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. জাহিদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে মূল কমিটিসহ কয়েকটা সাব-কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, ডিসেম্বরের মধ্যে সমাবর্তন সম্পন্ন হবে।

সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এ আয়োজন বেরোবিতে তাদের শিক্ষাজীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

উল্লেখ্য, রংপুরবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে দেশের ৩০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে।

রংপুর শহরের লালকুঠি এলাকায় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পরিত্যক্ত কয়েকটি কক্ষে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির এখন রয়েছে ৭৫ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাস। শুরুতে ছয়টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী, ১২ শিক্ষক, তিন কর্মকর্তা ও ৯ কর্মচারীর বেরোবিতে এখন পড়ছেন প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী। ছয়টি অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ২২টি। উচ্চতর গবেষণার জন্য এখানে রয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।

নির্মাণাধীন একটি ছাত্রী হলসহ চারটি আবাসিক হল, চারটি একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ অন্যান্য স্থাপনা নিয়ে ১৬ বছরে অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পেয়েছে বেরোবি। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শীর্ষ বিদ্যাপীঠটির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমও ঈর্ষণীয়। নানা সংকটের মধ্যেও এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে।

রাষ্ট্রপতির সম্মতি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন আয়োজনে

প্রকাশিত : ০৮:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাঈমা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯-এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী এ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। পাশাপাশি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য বর্তমান আইন মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে মনোনীত বা অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর।

চিঠিতে অনুষ্ঠানের সময়সূচি ও কর্মসূচিসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিবের দপ্তরে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করার নির্দেশ‌ও দেওয়া হয়েছে।

বেরোবি রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, প্রথম সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. জাহিদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে মূল কমিটিসহ কয়েকটা সাব-কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, ডিসেম্বরের মধ্যে সমাবর্তন সম্পন্ন হবে।

সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এ আয়োজন বেরোবিতে তাদের শিক্ষাজীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

উল্লেখ্য, রংপুরবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে দেশের ৩০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে।

রংপুর শহরের লালকুঠি এলাকায় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পরিত্যক্ত কয়েকটি কক্ষে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির এখন রয়েছে ৭৫ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাস। শুরুতে ছয়টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী, ১২ শিক্ষক, তিন কর্মকর্তা ও ৯ কর্মচারীর বেরোবিতে এখন পড়ছেন প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী। ছয়টি অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ২২টি। উচ্চতর গবেষণার জন্য এখানে রয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।

নির্মাণাধীন একটি ছাত্রী হলসহ চারটি আবাসিক হল, চারটি একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ অন্যান্য স্থাপনা নিয়ে ১৬ বছরে অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পেয়েছে বেরোবি। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শীর্ষ বিদ্যাপীঠটির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমও ঈর্ষণীয়। নানা সংকটের মধ্যেও এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে।