হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। এই উৎসবকে ঘিরে চট্টগ্রামজুড়ে এখন আনন্দের আমেজ। প্রশাসন নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব সোমবার সপ্তমী, মঙ্গলবার অষ্টমী, বুধবার নবমী এবং বৃহস্পতিবার দশমী পূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মহাপঞ্চমীতে বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীকে জাগ্রত করে আহ্বান করা হয়েছে। বোধনে খুলে যায় দেবী দুর্গার আয়ত চোখের পলক। আজ ষষ্ঠীর পূজার মাধ্যমে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পূজামণ্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন। এসব আয়োজনে ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা।
সাধারণত আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন, অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও শুভ মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় হয় সমাপ্তি। গত ২১ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়া থেকেই পূজার ক্ষণগণনা শুরু হয়।
মঙ্গলবার সপ্তমী পূজা। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা শেষে ভক্তদের দেওয়া হবে অঞ্জলি। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ। এছাড়া সন্ধ্যায় ও রাতে আরতিসহ রয়েছে নানা আয়োজন।
এবার দেবী দুর্গা আসবে গজে বা হাতিতে চড়ে। যাবেন দোলায় বা পালকিতে। এবার আসা-যাওয়ায় শুভ-অশুভ দুটোরই ইঙ্গিত রয়েছে। দুর্গা গজে (হাতিতে) আসায় মর্ত্যলোকে মঙ্গল এবং সমৃদ্ধি আসবে, কিন্তু দেবীর দোলায় (পালকি) গমনের কারণে ভবিষ্যতে মহামারী বা অন্যান্য দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপনের পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলায় এবার ২ হাজার ১১৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৬১৪টি এবং ঘট পূজা ৫৭৯। এছাড়া মহানগরীর ১৬ থানার ৪১ ওয়ার্ডে প্রতিমা ও ঘট পূজা মিলে ২৯২টি মণ্ডপে পূজা হবে।