ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর প্রবেশমুখ সাদ্দাম মার্কেট থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে যানজটে আটকা পড়ে হাজারো যাত্রী ও যানবাহন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড ও সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় যানজটের চাপ বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হয়েছে যানবাহনের সারি। সন্ধ্যা ৬টার পর মহাসড়কের দুই দিকেই শত শত ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ১০টার আগে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। এই নিয়মের কারণে মহাসড়কের আশপাশে অসংখ্য ট্রাক অবস্থান নেয়। ট্রাকগুলো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকায় মূল সড়কের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয় এবং তীব্র যানজট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, আমরা ডিএমপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। যানজট নিরসনে এবং সড়কে স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত রুট হলেও এখানে প্রায়ই একই চিত্র দেখা যায়। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী বা জরুরি কাজে থাকা সাধারণ যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন। এতে শুধু ভোগান্তিই নয়, অনেকের কাজও ব্যাহত হয়।

স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা বলছেন, ট্রাকের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটে। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে ট্রাক রাখার আলাদা জায়গা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এর ফলেই যানজট হয়। তাদের দাবি, বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা করা হলে এ ধরনের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।

ভুক্তভোগীরা মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দ্রুত বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত : ১০:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর প্রবেশমুখ সাদ্দাম মার্কেট থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে যানজটে আটকা পড়ে হাজারো যাত্রী ও যানবাহন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড ও সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় যানজটের চাপ বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হয়েছে যানবাহনের সারি। সন্ধ্যা ৬টার পর মহাসড়কের দুই দিকেই শত শত ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ১০টার আগে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। এই নিয়মের কারণে মহাসড়কের আশপাশে অসংখ্য ট্রাক অবস্থান নেয়। ট্রাকগুলো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকায় মূল সড়কের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয় এবং তীব্র যানজট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, আমরা ডিএমপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। যানজট নিরসনে এবং সড়কে স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত রুট হলেও এখানে প্রায়ই একই চিত্র দেখা যায়। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী বা জরুরি কাজে থাকা সাধারণ যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন। এতে শুধু ভোগান্তিই নয়, অনেকের কাজও ব্যাহত হয়।

স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা বলছেন, ট্রাকের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটে। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে ট্রাক রাখার আলাদা জায়গা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এর ফলেই যানজট হয়। তাদের দাবি, বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা করা হলে এ ধরনের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।

ভুক্তভোগীরা মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দ্রুত বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।