ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

দুমকিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ শিকারের মহোৎসব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার দেখা হয়েছে

দুমকি প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ শিকারের মহোৎসব চলছে। প্রজনন মৌসুমে অভিযান থাকলেও পায়রা, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে দিন-রাত সমান তালে চলছে অবাধ শিকার।
জনবল ও যানবাহন সংকটে প্রশাসনের অভিযানে গতি কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন জেলেরা। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতায় অনেক জেলে পরিবারের শিশু-কিশোরদের দিয়েই নদীতে নামছে ইলিশ শিকারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাংগাশিয়া, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, পাতাবুনিয়া, লেবুখালী ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের অন্তত: ১১টি পয়েন্টে রাতে-দিনে চলছে মা-ইলিশ শিকার। নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকেই (৪ অক্টোবর) জেলেরা কৌশলে অভিযান এড়িয়ে মাছ ধরছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে নদীতে।


অভিযান দেখা মাত্রই মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত নদীর অপর তীরের বাউফল, মির্জাগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জের ঝোপ-ঝাড় ও খালে লুকিয়ে পড়ে জেলেরা। অভিযান শেষে ফের জাল ফেলে রাতভর চলে ইলিশ আহরণ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব ধরা ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি না করে গোপনে পাইকারদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার হাজিরহাট, লেবুখালী ফেরিঘাট, আঙ্গারিয়া বন্দর ও পাতাবুনিয়া বাজার ও কদমতলাসহ অন্তত: ১১টি ঘাটে ককশেডে ইলিশ মজুত রাখছে পাইকাররা।
আঙ্গারিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি মৌসুমি জেলেরা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না বলেও জানান।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযানে ৪টি নৌকা ও ১ লাখ ৯০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আটক ৫জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং এক কিশোরকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, জনবল ও দ্রুতযান সংকট সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক বলেন, নদীতে অভিযান চালানো হলেও জেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়। তারপরও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলে শতভাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

দুমকিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ শিকারের মহোৎসব

প্রকাশিত : ০৫:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

দুমকি প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ শিকারের মহোৎসব চলছে। প্রজনন মৌসুমে অভিযান থাকলেও পায়রা, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে দিন-রাত সমান তালে চলছে অবাধ শিকার।
জনবল ও যানবাহন সংকটে প্রশাসনের অভিযানে গতি কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন জেলেরা। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতায় অনেক জেলে পরিবারের শিশু-কিশোরদের দিয়েই নদীতে নামছে ইলিশ শিকারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাংগাশিয়া, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, পাতাবুনিয়া, লেবুখালী ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের অন্তত: ১১টি পয়েন্টে রাতে-দিনে চলছে মা-ইলিশ শিকার। নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকেই (৪ অক্টোবর) জেলেরা কৌশলে অভিযান এড়িয়ে মাছ ধরছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে নদীতে।


অভিযান দেখা মাত্রই মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত নদীর অপর তীরের বাউফল, মির্জাগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জের ঝোপ-ঝাড় ও খালে লুকিয়ে পড়ে জেলেরা। অভিযান শেষে ফের জাল ফেলে রাতভর চলে ইলিশ আহরণ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব ধরা ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি না করে গোপনে পাইকারদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার হাজিরহাট, লেবুখালী ফেরিঘাট, আঙ্গারিয়া বন্দর ও পাতাবুনিয়া বাজার ও কদমতলাসহ অন্তত: ১১টি ঘাটে ককশেডে ইলিশ মজুত রাখছে পাইকাররা।
আঙ্গারিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি মৌসুমি জেলেরা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না বলেও জানান।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযানে ৪টি নৌকা ও ১ লাখ ৯০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আটক ৫জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং এক কিশোরকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, জনবল ও দ্রুতযান সংকট সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক বলেন, নদীতে অভিযান চালানো হলেও জেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়। তারপরও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলে শতভাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।