ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ইট দিয়ে থেঁতলে নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের খানপুর জোড়া পানি ট্যাংকির ভেতরে ছয়জন যুবক মিলে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে। এ সময় পাশে একটি শিশু দাঁড়িয়ে ছিল। হানিফ বারবার প্রাণভিক্ষা চাইলেও হামলাকারীরা থামেনি।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হানিফকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হানিফের মৃত্যু হয়।

নিহত আবু হানিফ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন তিনি। তিনি খানপুরের জিতু ভিলায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন।

এর আগে নিহতের মেজো বোন রাবেয়া বলেন, দুপুরে ভাই বাসায় বিছানায় শুয়ে ছিল। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে এসে মারতে মারতে নিয়ে গেল। আমাদের কোনো কথা শুনল না। পরে শুনছি ভাই নাকি একটা বাচ্চাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে কিছুই জানি না।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর পরই ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—বাহার (৩৬), সাইদুল ইসলাম (২৫) ও মুশফিকুর রহমান (২৯)। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১১ পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে মামলার ৯ নম্বর আসামি অপুকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। সে খানপুর এলাকার হিরা মিয়ার ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, র‍্যাব আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উল্লিখিত কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।

‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ বক্স অফিসে ইতিহাস গড়ল

ইট দিয়ে থেঁতলে নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা

প্রকাশিত : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের খানপুর জোড়া পানি ট্যাংকির ভেতরে ছয়জন যুবক মিলে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে। এ সময় পাশে একটি শিশু দাঁড়িয়ে ছিল। হানিফ বারবার প্রাণভিক্ষা চাইলেও হামলাকারীরা থামেনি।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হানিফকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হানিফের মৃত্যু হয়।

নিহত আবু হানিফ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন তিনি। তিনি খানপুরের জিতু ভিলায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন।

এর আগে নিহতের মেজো বোন রাবেয়া বলেন, দুপুরে ভাই বাসায় বিছানায় শুয়ে ছিল। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে এসে মারতে মারতে নিয়ে গেল। আমাদের কোনো কথা শুনল না। পরে শুনছি ভাই নাকি একটা বাচ্চাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে কিছুই জানি না।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর পরই ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—বাহার (৩৬), সাইদুল ইসলাম (২৫) ও মুশফিকুর রহমান (২৯)। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১১ পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে মামলার ৯ নম্বর আসামি অপুকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। সে খানপুর এলাকার হিরা মিয়ার ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, র‍্যাব আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উল্লিখিত কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।