ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

‘বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একের পর এক কেন্দ্র বানানো হয়েছে’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একটার পর একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গবেষণা কাউন্সিলের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত যে কোনো দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার দেখে মূল্যায়ন করা হয় কোনো দেশের অবস্থান। ভারতের মহারাষ্ট্রে মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ৩ হাজার কিলোওয়াট আওয়ারের (ইউনিট) বেশি, তাদের সবচেয়ে কম ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে ৩৪৮ কিলোওয়াট আওয়ার। বাংলাদেশে মাত্র ৬৪০ কিলোওয়াট আওয়ার। ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা মালয়েশিয়া কতটা উন্নত আমরা সবাই জানি। আমাদের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

‘অন্যান্য দেশে বিদ্যুতের স্থাপিত সক্ষমতার পরিমাণ চাহিদার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। আর আমরা দ্বিগুণ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে বসে আছি। বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একটার পর একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। ক্যাপটিভে ৪ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, উৎপাদন ক্ষমতা ৬ হাজার মেগাওয়াট। এটা নিয়ে নিশ্চিতে ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই। ৫ বছর, ১০ বছর পরে অবস্থা কি দাঁড়াবে। বিইপিআরসি এনার্জি সেক্টরের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরকে নেট জিরোতে যাওয়ার চাপ রয়েছে পোশাক ক্রেতাদের। সেটা কীভাবে সম্ভব, তখন বিদ্যুতের চাহিদা কত দাঁড়াবে। সেগুলো বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে’ যোগ করেন তিনি।

জালাল আহমেদ বলেন, বিইআরসির গবেষণা তহবিল রয়েছে। এতদিন নীতিমালা অভাবে বিনিয়োগ করা হয়নি। নীতিমালা হয়ে গেছে, এখন বিনিয়োগ শুরু করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন মেজর জেনারেল এস এম জিয়া উল আজিম, বিইপিআরসির চেয়ারম্যান ওয়াহিদ হাসান।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একের পর এক কেন্দ্র বানানো হয়েছে’

প্রকাশিত : ০৭:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একটার পর একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গবেষণা কাউন্সিলের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত যে কোনো দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার দেখে মূল্যায়ন করা হয় কোনো দেশের অবস্থান। ভারতের মহারাষ্ট্রে মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ৩ হাজার কিলোওয়াট আওয়ারের (ইউনিট) বেশি, তাদের সবচেয়ে কম ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে ৩৪৮ কিলোওয়াট আওয়ার। বাংলাদেশে মাত্র ৬৪০ কিলোওয়াট আওয়ার। ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা মালয়েশিয়া কতটা উন্নত আমরা সবাই জানি। আমাদের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

‘অন্যান্য দেশে বিদ্যুতের স্থাপিত সক্ষমতার পরিমাণ চাহিদার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। আর আমরা দ্বিগুণ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে বসে আছি। বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি দেখানোর জন্য একটার পর একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। ক্যাপটিভে ৪ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, উৎপাদন ক্ষমতা ৬ হাজার মেগাওয়াট। এটা নিয়ে নিশ্চিতে ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই। ৫ বছর, ১০ বছর পরে অবস্থা কি দাঁড়াবে। বিইপিআরসি এনার্জি সেক্টরের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরকে নেট জিরোতে যাওয়ার চাপ রয়েছে পোশাক ক্রেতাদের। সেটা কীভাবে সম্ভব, তখন বিদ্যুতের চাহিদা কত দাঁড়াবে। সেগুলো বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে’ যোগ করেন তিনি।

জালাল আহমেদ বলেন, বিইআরসির গবেষণা তহবিল রয়েছে। এতদিন নীতিমালা অভাবে বিনিয়োগ করা হয়নি। নীতিমালা হয়ে গেছে, এখন বিনিয়োগ শুরু করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন মেজর জেনারেল এস এম জিয়া উল আজিম, বিইপিআরসির চেয়ারম্যান ওয়াহিদ হাসান।