ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জলঢাকার কৃষকেরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:

উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জলঢাকায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। এদিকে এই ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কাটামাড়াই করছেন তারা।
শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে ও জানাযায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন সহ পৌর এলাকার মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালী রঙের সমারোহ দেখা গেছে।


এছাড়া বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ার আশা কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবার এ ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরো ধান চাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপণ করা ও পরিচর্যা সহ সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে ও পাকা বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে কৃষকেরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠ গুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এদিকে জমির পর জমিতে পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে।
উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া এলাকার কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, এ মৌসুমে আমি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। এবং কৃষি অফিসের পরামর্শে যথাযথ ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পাকা ধান কাটতে শুরু করেছি। ফলন ও ভালো হয়েছে। তবে কিছু দিন আগে বৃষ্টির কারনে ধান নষ্ট হওয়ার পথে।
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত এলাকার কৃষক আলম জানান, এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। আবার পাকাধান কাটতে শুরু করেছি। আশাকরি ভালো দাম পাবো।


গোলমুন্ডা ইউনিয়ন বাজারের ধান ব্যবসায়ি জাকির জানান গত বাজারে ধান তেমন আমদানি হয়নি। তবে টুক টাক বেচা কেনা হয়েছে। আশাকরছি দু – চারদিনের মধ্যে ধান পুরোদমে আমদানি শুরু হবে। কৈমারী ইউনিয়নে গাবরোল এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যাবহার পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার উপজেলার কোথাও পোকার আক্রমণ না থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, বোরো ধানের শুরু থেকেই ভালো মানের বীজ জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। তারপরেও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।

সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জলঢাকার কৃষকেরা

প্রকাশিত : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি:

উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জলঢাকায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। এদিকে এই ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কাটামাড়াই করছেন তারা।
শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে ও জানাযায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন সহ পৌর এলাকার মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালী রঙের সমারোহ দেখা গেছে।


এছাড়া বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ার আশা কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবার এ ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরো ধান চাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপণ করা ও পরিচর্যা সহ সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে ও পাকা বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে কৃষকেরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠ গুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এদিকে জমির পর জমিতে পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে।
উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া এলাকার কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, এ মৌসুমে আমি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। এবং কৃষি অফিসের পরামর্শে যথাযথ ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পাকা ধান কাটতে শুরু করেছি। ফলন ও ভালো হয়েছে। তবে কিছু দিন আগে বৃষ্টির কারনে ধান নষ্ট হওয়ার পথে।
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত এলাকার কৃষক আলম জানান, এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। আবার পাকাধান কাটতে শুরু করেছি। আশাকরি ভালো দাম পাবো।


গোলমুন্ডা ইউনিয়ন বাজারের ধান ব্যবসায়ি জাকির জানান গত বাজারে ধান তেমন আমদানি হয়নি। তবে টুক টাক বেচা কেনা হয়েছে। আশাকরছি দু – চারদিনের মধ্যে ধান পুরোদমে আমদানি শুরু হবে। কৈমারী ইউনিয়নে গাবরোল এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যাবহার পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার উপজেলার কোথাও পোকার আক্রমণ না থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, বোরো ধানের শুরু থেকেই ভালো মানের বীজ জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। তারপরেও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।