ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রাজউক নকশাবিহীন ভবন নিয়ে কী ভাবছে?

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় গড়ে ওঠা লাখ লাখ ভবনের অনুমোদিত কোনো নকশা নেই। এগুলো নকশাবিহীন এবং অবৈধ— বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জানা থাকলেও এগুলো অপসারণ করা বা কঠোর কোনো পদক্ষেপে যেতে পারেনি রাজউক। তবে, শেষ পর্যন্ত এসব স্থাপনা ও ভবনের বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, ৩৮ বছর পর রাজউক আইন অধ্যাদেশ আকারে সংশোধন হতে যাচ্ছে। সংস্থাটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বেশকিছু শাস্তির বিধানও রাখা হচ্ছে। রাজউকের বিদ্যমান আইনের নাম ‘টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩’, যা যুগোপযোগী করে এখন ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ-২০২৫’ নামে অভিহিত হবে।

রাজউক আইনে বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে— কেউ রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। তবে, একই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

রাজউকের প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশে আরও নতুন কিছু বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

• নগর পুনঃউন্নয়ন : শহরের ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ এলাকাকে বসবাস উপযোগী করা হবে। পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে ওই এলাকার জীবনমান, অর্থনৈতিক অবস্থা ও কাঠামো উন্নয়ন করে বসবাস উপযোগী হিসাবে তৈরি করা যাবে।

• সড়ক দখল করে স্থাপনা, ভবনের সীমানারেখায় দেওয়াল বা স্থাপনা তৈরির পর রাজউক সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিলে এবং তা পালন না করলে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে পাকা দেওয়াল বা স্থাপনা অপসারণ না করলে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসের জেল বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

• রাজউকের কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে সর্বোচ্চ চার মাসের কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

• কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নিচু ভূমি ভরাট কিংবা পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে দুই বছরের জেল বা ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

• আদালত কোনো ব্যক্তিকে কোনো দেওয়াল, ইমারত বা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পরও তা অপসারণ না করলে দুই বছরের জেল বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি সংলাপ ফের শুরু করতে চায়

রাজউক নকশাবিহীন ভবন নিয়ে কী ভাবছে?

প্রকাশিত : ১০:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় গড়ে ওঠা লাখ লাখ ভবনের অনুমোদিত কোনো নকশা নেই। এগুলো নকশাবিহীন এবং অবৈধ— বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জানা থাকলেও এগুলো অপসারণ করা বা কঠোর কোনো পদক্ষেপে যেতে পারেনি রাজউক। তবে, শেষ পর্যন্ত এসব স্থাপনা ও ভবনের বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, ৩৮ বছর পর রাজউক আইন অধ্যাদেশ আকারে সংশোধন হতে যাচ্ছে। সংস্থাটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বেশকিছু শাস্তির বিধানও রাখা হচ্ছে। রাজউকের বিদ্যমান আইনের নাম ‘টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩’, যা যুগোপযোগী করে এখন ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ-২০২৫’ নামে অভিহিত হবে।

রাজউক আইনে বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে— কেউ রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। তবে, একই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

রাজউকের প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশে আরও নতুন কিছু বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

• নগর পুনঃউন্নয়ন : শহরের ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ এলাকাকে বসবাস উপযোগী করা হবে। পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে ওই এলাকার জীবনমান, অর্থনৈতিক অবস্থা ও কাঠামো উন্নয়ন করে বসবাস উপযোগী হিসাবে তৈরি করা যাবে।

• সড়ক দখল করে স্থাপনা, ভবনের সীমানারেখায় দেওয়াল বা স্থাপনা তৈরির পর রাজউক সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিলে এবং তা পালন না করলে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে পাকা দেওয়াল বা স্থাপনা অপসারণ না করলে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসের জেল বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

• রাজউকের কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে সর্বোচ্চ চার মাসের কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

• কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নিচু ভূমি ভরাট কিংবা পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে দুই বছরের জেল বা ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

• আদালত কোনো ব্যক্তিকে কোনো দেওয়াল, ইমারত বা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পরও তা অপসারণ না করলে দুই বছরের জেল বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।