ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

তামাকমুক্ত মডেল টার্মিনাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি মহাখালী বাস টার্মিনালকে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

মহাখালী বাস টার্মিনালকে একটি তামাকমুক্ত মডেল টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) মহাখালী বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত ‘তামাকমুক্ত বাস টার্মিনাল প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন: করণীয় ও সম্ভাবনা’- শীর্ষক মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, গণপরিবহণসহ পাবলিক প্লেসে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হলে জনসচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, এসব জায়গায় পাবলিক নির্দ্বিধায় ধূমপান করে যাচ্ছে। প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে যেহেতু আমাদের হাতে আইন আছে, তাই আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইন। আমরা মনে করি, একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইনের সঠিক বাস্তবায়ন-ই পারে একটি বাস টার্মিনালকে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে।

তারা বলেন, পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালক ও হেলপাররা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। এজন্য দরকার চালক ও হেল্পারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেদের অধূমপায়ী হওয়া। তিনি আরও বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই, নিজস্ব সচেতনতাই পারে নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়ার সহায়তা করতে।

তারা আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ ও সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোটের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইনের উদ্দেশ্য পালনে বাধ্য, অন্যথায় তাদের জরিমানা যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বিআরটিএ, জনপ্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও নাগরিক সমাজ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর প্রয়োগের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং প্রত্যাশা-মাদক বিরোধী সংস্থার সভাপতি হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মসূচিটির আয়োজন করে ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অব সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ঢাকা জিলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন।

রাজউক নকশাবিহীন ভবন নিয়ে কী ভাবছে?

তামাকমুক্ত মডেল টার্মিনাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি মহাখালী বাস টার্মিনালকে

প্রকাশিত : ০৯:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

মহাখালী বাস টার্মিনালকে একটি তামাকমুক্ত মডেল টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) মহাখালী বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত ‘তামাকমুক্ত বাস টার্মিনাল প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন: করণীয় ও সম্ভাবনা’- শীর্ষক মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, গণপরিবহণসহ পাবলিক প্লেসে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হলে জনসচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, এসব জায়গায় পাবলিক নির্দ্বিধায় ধূমপান করে যাচ্ছে। প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে যেহেতু আমাদের হাতে আইন আছে, তাই আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইন। আমরা মনে করি, একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইনের সঠিক বাস্তবায়ন-ই পারে একটি বাস টার্মিনালকে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে।

তারা বলেন, পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালক ও হেলপাররা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। এজন্য দরকার চালক ও হেল্পারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেদের অধূমপায়ী হওয়া। তিনি আরও বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই, নিজস্ব সচেতনতাই পারে নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়ার সহায়তা করতে।

তারা আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ ও সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোটের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইনের উদ্দেশ্য পালনে বাধ্য, অন্যথায় তাদের জরিমানা যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বিআরটিএ, জনপ্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও নাগরিক সমাজ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর প্রয়োগের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং প্রত্যাশা-মাদক বিরোধী সংস্থার সভাপতি হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মসূচিটির আয়োজন করে ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অব সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ঢাকা জিলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন।