ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

বীমা জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের শুরুর সময় ২০২১ সালে তিনি বীমা জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন অভিযোগে বুধবার দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কার সরকারের পতন ঘটে। তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। তার সরকারের মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন রানাতুঙ্গা।

এর আগে, চাঁদাবাজির এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রসন্ন রানাতুঙ্গা। নতুন মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় একটি বীমা কোম্পানিতে জালিয়াতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে বুধবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরে এক লাখ রুপি (৩৩৩ ডলার) নগদ জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কলম্বোর প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট আসাঙ্গা বোদারাগামা সাবেক ওই মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

দেশটির ৫৮ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীকে আগে চাঁদাবাজির এক মামলায় দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। এছাড়া এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাদা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ রুপি ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করা হলে তাকে অতিরিক্ত ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। ওই সময় দেশটি ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকলেও আন্দোলনকারীরা গত কয়েক দশকে এই ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় ছিল ৪ হাজার ৫১৫ ডলার।

দেশটির ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অধিক ক্ষমতা দিয়েছে; যাতে ফৌজদারি রায় ছাড়াই অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে পারে সংস্থাটি।

শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৯:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বীমা জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক পর্যটনমন্ত্রী প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের শুরুর সময় ২০২১ সালে তিনি বীমা জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন অভিযোগে বুধবার দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কার সরকারের পতন ঘটে। তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। তার সরকারের মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন রানাতুঙ্গা।

এর আগে, চাঁদাবাজির এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রসন্ন রানাতুঙ্গা। নতুন মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় একটি বীমা কোম্পানিতে জালিয়াতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসন্ন রানাতুঙ্গাকে বুধবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরে এক লাখ রুপি (৩৩৩ ডলার) নগদ জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কলম্বোর প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট আসাঙ্গা বোদারাগামা সাবেক ওই মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

দেশটির ৫৮ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীকে আগে চাঁদাবাজির এক মামলায় দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। এছাড়া এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাদা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ রুপি ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করা হলে তাকে অতিরিক্ত ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। ওই সময় দেশটি ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকলেও আন্দোলনকারীরা গত কয়েক দশকে এই ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় ছিল ৪ হাজার ৫১৫ ডলার।

দেশটির ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অধিক ক্ষমতা দিয়েছে; যাতে ফৌজদারি রায় ছাড়াই অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে পারে সংস্থাটি।