ডেস্ক রিপোর্ট 
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদরে বিএনপির আয়োজনে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২শে নভেম্বর শনিবার বিকালে গান্না ইউনিয়নে ৩ ও ৪ ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিঃ মোঃ আলী হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঝিনাইদহ সদর-২ আসনের এমপি পার্থী এ্যাঃ এম এ মজিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকঃ জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন আলম, জবসদর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকঃ জনাব সহকারী অধ্যাপক আব্দুল খালেক।এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা তাতীদলের সাধারণ সম্পাদকঃ শেখ সেলিম, সদর তাতীদলের সভাপতিঃ মোঃ কামাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ হারুন-উর রশিদ (প্লাবণ), জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন,সদর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়কঃ মোঃ মোজ্জামেল হক আরো উপস্থিত ছিলেন, রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিঃ ইজ্জত আলী মাস্টার, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিঃ মোঃ আলী হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিঃ জনাব মোঃ নূর ইসলামসহ অন্যান নেত্রীবৃন্দ। বক্তব্যরা সকল নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের পার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও কাজ করার আহবান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মজিদ বলেন,
বিএনপি সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের সকল কৃষককেই বীনা মূল্যে সরা-বীজ সরবরাহ করবে এবং কৃষি কার্ড করে দওয়া হবে। দেশের সকল দুস্ত ও অস্বচ্ছল প্রতিটি পরিবারের মহিলাদের ৫,০০০/=- ৭,০০০/= টাকার স্মার্ট কার্ড করে দেওয়া হবে।
বক্তারা আসন্ন প্রদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য এখন থেকেই গণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা শুনে এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করার আহব্বান রাখেন।জনগণ সাধারণ জনতা বিএনপিকে ভালোবেসে নিজে ভোট দেয় এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট এম এ মজিদ বলেন,
একটি দল তার কাছে কি জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে ধর্ম ব্যবসা করে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদেরকে আহ্বান করব ধর্মব্যবসা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়ান। মসজিদে মসজিদে গোপন বৈঠক না করে তালিমের নামে ধর্মব্যবসা না করে খোলা ময়দানে রাজনীতি করেন।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে জন্মদিনের ভালোবাসায় যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে। বিএনপি’র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মানুষের দুঃখ দুর্দশাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন।
বিশেষ করে আমি যদি ঝিনাইদহ সদর-২ আসনের প্রার্থী ধানের প্রতীক পেয়ে বিজয়ী হলে, সারা বাংলাদেশের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর-২ আসনকে একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষা, চিকিৎসা,অন্য, বস্ত্র বাসস্থান এই মৌলিক চাহিদাসহ জনগণের সকল প্রত্যাশা পূরণে আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য উক্ত সমাবেশ কে ঘিরে নারী-পুরুষ সহ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং স্থলসহ আশপাশের অলি-গলি মুখরিত, প্রকম্পিত হাওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন করে বিএনপির জনপ্রিয়তার বার্তা দিচ্ছে।
