ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমের যুগে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালু হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে রেগুলেটরি সাবমিশন মডিউল এবং সিএসইতে অনবোর্ডিং সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ডিএসই নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ব্যবহার করে এ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলে, যা প্রথম চালু হয় ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সময়ের সঙ্গে সিস্টেমটি পুঁজিবাজারে ডকুমেন্ট ও ডিসক্লোজার ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও রিয়েল–টাইমে সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি করে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিকুঞ্জের ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), কোম্পানি সচিব (সিএস), প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং বাজার-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উপস্থিতিতে নতুন মডিউলগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।

ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের চীন প্রশিক্ষণের পর ডিএসই’র আইটি দল যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বাস্তব উদাহরণ। বিদেশি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের তথ্য বেশি দৃশ্যমান হলেও এখন এক্সচেঞ্জের নতুন সিস্টেম ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য সদস্য, অ্যাসেট ম্যানেজার, বিশ্লেষক, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সবাইকে প্রশিক্ষণের ওপর তিনি জোর দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী প্রধান অতিথি বিএসইসি কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন বলেন, নতুন ডিজিটাল সাবমিশন প্ল্যাটফর্ম বাজারে স্বচ্ছতা, মানসম্মত রিপোর্টিং এবং তথ্যপ্রবাহ আরও শক্তিশালী করবে। বিপিএম–ভিত্তিক অটোমেশন ধারণা গ্রহণ করা হয় চীনা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে। দুইজন ডিএসই কর্মকর্তা শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পর দেশীয় টিমকে সঙ্গে নিয়ে সিস্টেম উন্নয়ন করেন। ভবিষ্যতে ডেটা আর শুধু পিডিএফ হবে না, এআই–পাঠযোগ্য এক্সবিআরএল ফরম্যাটে যাবে, যা হবে আধুনিক আর্থিক ডেটা অবকাঠামোর ভিত্তি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি পুঁজিবাজারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও নথি জমা এখনো বড় অংশে ম্যানুয়াল ছিল; নতুন প্ল্যাটফর্ম এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে বাজারে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াবে।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমের যুগে

প্রকাশিত : ১১:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালু হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে রেগুলেটরি সাবমিশন মডিউল এবং সিএসইতে অনবোর্ডিং সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ডিএসই নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ব্যবহার করে এ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলে, যা প্রথম চালু হয় ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সময়ের সঙ্গে সিস্টেমটি পুঁজিবাজারে ডকুমেন্ট ও ডিসক্লোজার ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও রিয়েল–টাইমে সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি করে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিকুঞ্জের ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), কোম্পানি সচিব (সিএস), প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং বাজার-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উপস্থিতিতে নতুন মডিউলগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।

ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের চীন প্রশিক্ষণের পর ডিএসই’র আইটি দল যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বাস্তব উদাহরণ। বিদেশি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের তথ্য বেশি দৃশ্যমান হলেও এখন এক্সচেঞ্জের নতুন সিস্টেম ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য সদস্য, অ্যাসেট ম্যানেজার, বিশ্লেষক, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সবাইকে প্রশিক্ষণের ওপর তিনি জোর দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী প্রধান অতিথি বিএসইসি কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন বলেন, নতুন ডিজিটাল সাবমিশন প্ল্যাটফর্ম বাজারে স্বচ্ছতা, মানসম্মত রিপোর্টিং এবং তথ্যপ্রবাহ আরও শক্তিশালী করবে। বিপিএম–ভিত্তিক অটোমেশন ধারণা গ্রহণ করা হয় চীনা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে। দুইজন ডিএসই কর্মকর্তা শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পর দেশীয় টিমকে সঙ্গে নিয়ে সিস্টেম উন্নয়ন করেন। ভবিষ্যতে ডেটা আর শুধু পিডিএফ হবে না, এআই–পাঠযোগ্য এক্সবিআরএল ফরম্যাটে যাবে, যা হবে আধুনিক আর্থিক ডেটা অবকাঠামোর ভিত্তি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি পুঁজিবাজারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও নথি জমা এখনো বড় অংশে ম্যানুয়াল ছিল; নতুন প্ল্যাটফর্ম এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে বাজারে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াবে।