ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ঝালকাঠি হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে চারজনকে- ডা. শামীম আহমেদ, যিনি বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত, ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই এবং স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী কেনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। ছয়টি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হলেও জমা পড়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের দর।

দুদক কর্মকর্তা পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, দরপত্র সাজানো হয়েছে। কাছাকাছি রেটে দর দেখিয়ে চক্রান্তমূলক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি পিপিআর বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

অন্যদিকে ডা. শামীম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাজানো ও বানানো অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

দুদক জানায়, মামলার রেকর্ড গ্রহণের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী গ্রেপ্তার ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ঝালকাঠি হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত : ১২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে চারজনকে- ডা. শামীম আহমেদ, যিনি বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত, ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই এবং স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী কেনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। ছয়টি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হলেও জমা পড়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের দর।

দুদক কর্মকর্তা পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, দরপত্র সাজানো হয়েছে। কাছাকাছি রেটে দর দেখিয়ে চক্রান্তমূলক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি পিপিআর বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

অন্যদিকে ডা. শামীম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাজানো ও বানানো অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

দুদক জানায়, মামলার রেকর্ড গ্রহণের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী গ্রেপ্তার ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।