ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের পেঁয়াজের বাজার সাম্প্রতিক সময়ে মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ করে দেশটির বড় ক্রেতা বাংলাদেশ বিপুল পেঁয়াজ নিচ্ছে না। এরসঙ্গে সৌদি আরবও ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভারতের বদলে পেঁয়াজের জন্য পাকিস্তান ও চীনের দিকে ঝুঁকেছে এ দুই দেশ। যা নয়াদিল্লির পেঁয়াজ বাজারকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর এরজন্য ভারত নিজেই দায়ী বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

মূলত ভারত স্থানীয় বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে একাধিকবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে আমদানিকারী দেশগুলো বিকল্প বাজার খুঁজে নিয়েছে।

এরসঙ্গে ভারতের পেঁয়াজের বীজ ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলো পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিজেদের স্বনির্ভর করছে বলে সতর্কতা দিয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা। এতে বিশ্ববাজারে ভারতের পেঁয়াজ চাষিদের অবস্থান ঝুঁকিতে পড়ছে।

এখন স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় বাংলাদেশ ভারত থেকে আর পেঁয়াজ কিনছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৭ দশমিক ২৪ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। যা তাদের মোট রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল।

সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ মাত্র ১২ হাজার ৯০০ টন পেঁয়াজ কিনেছে। যদিও এরজন্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়।কিন্তু রপ্তানিকারকরা বলছেন, বারবার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণেই ক্রেতা দেশগুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব ট্রেডের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য পাশা প্যাটেল বলেছেন, “আমরা শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যগত ক্রেতাদের হারাইনি, তারা ভারতের পেঁয়াজ বীজ ব্যবহার করে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া শুরু করেছে।”

ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন সৌদি আরবও প্রায় এক বছর ধরে তাদের পেঁয়াজ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারদের সঙ্গে কথা বলে ভারত সরকার। তখন তারা জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের রপ্তানি অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি। মূলত ইয়েমেন এবং ইরান থেকে কমদামে পেঁয়াজ পাওয়ায় তারা সেদিকে ঝুঁকেছে। অপরদিকে ফিলিপাইন চীনের পেঁয়াজ না পেলে ভারত থেকে পেঁয়াজ নেয়।

ভারতের পেঁয়াজের বাজার সাম্প্রতিক সময়ে মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত : ০১:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

বিশেষ করে দেশটির বড় ক্রেতা বাংলাদেশ বিপুল পেঁয়াজ নিচ্ছে না। এরসঙ্গে সৌদি আরবও ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভারতের বদলে পেঁয়াজের জন্য পাকিস্তান ও চীনের দিকে ঝুঁকেছে এ দুই দেশ। যা নয়াদিল্লির পেঁয়াজ বাজারকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর এরজন্য ভারত নিজেই দায়ী বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

মূলত ভারত স্থানীয় বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে একাধিকবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে আমদানিকারী দেশগুলো বিকল্প বাজার খুঁজে নিয়েছে।

এরসঙ্গে ভারতের পেঁয়াজের বীজ ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলো পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিজেদের স্বনির্ভর করছে বলে সতর্কতা দিয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা। এতে বিশ্ববাজারে ভারতের পেঁয়াজ চাষিদের অবস্থান ঝুঁকিতে পড়ছে।

এখন স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় বাংলাদেশ ভারত থেকে আর পেঁয়াজ কিনছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৭ দশমিক ২৪ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। যা তাদের মোট রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল।

সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ মাত্র ১২ হাজার ৯০০ টন পেঁয়াজ কিনেছে। যদিও এরজন্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়।কিন্তু রপ্তানিকারকরা বলছেন, বারবার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণেই ক্রেতা দেশগুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব ট্রেডের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য পাশা প্যাটেল বলেছেন, “আমরা শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যগত ক্রেতাদের হারাইনি, তারা ভারতের পেঁয়াজ বীজ ব্যবহার করে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া শুরু করেছে।”

ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন সৌদি আরবও প্রায় এক বছর ধরে তাদের পেঁয়াজ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারদের সঙ্গে কথা বলে ভারত সরকার। তখন তারা জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের রপ্তানি অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি। মূলত ইয়েমেন এবং ইরান থেকে কমদামে পেঁয়াজ পাওয়ায় তারা সেদিকে ঝুঁকেছে। অপরদিকে ফিলিপাইন চীনের পেঁয়াজ না পেলে ভারত থেকে পেঁয়াজ নেয়।