ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দুমকিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ তোষক তৈরির কারিগররা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ  পটুয়াখালীর দুমকিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে লেপ তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে। উপজেলার শহরতলীর বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জের দোকান গুলোতেও নতুনের পাশাপাশি পুরাতন লেপ তোষক মেরামতের কাজ করতে দেখা যায় কারিগরদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। অপরদিকে এক শ্রেণীর ভাসমান ব্যবসায়ীদের গ্রামাঞ্চলে ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতের লেপতোষক ও কম্বল বিক্রি করতে হরহামেসা দেখা যায়। তবে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পিরতলা বাজার, রাজাখালী , বোর্ড অফিস, কদমতলা,আংগারিয়া, লেবুখালী, হাজির হাট ও কলবাড়ী বাজারের লেপ তোষকের দোকানে ভীড় করছেন ক্রেতারা। তুলা পরিষ্কার করা, ধুনন, কাপড়ে মোড়ানো আর সেলাই সব মিলিয়ে কারিগরদের চলছে শীতের মৌসুমী কর্ম ব্যস্ততা।


পিরতলা বাজারের ধুনকর কালাম বিশ্বাস জানান,“বছরজুড়েই লেপ তোষকের কাজ করি। তবে শীতের শুরুতেই ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। এবার তুলা ও কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি। লেপের কাপড়ের দাম প্রতি গজ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, তোষকের কাপড় ৫৫ থেকে ১২০ টাকা। গার্মেন্টস্ তুলা কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১৬০ টাকা, আর শিমুল তুলা ৪০০ টাকা। লেপ বানানোর মজুরি ৩০০-৪০০ টাকা, তোষক ২৫০-৩০০ টাকা। এত কিছুর পর আগের মতো লাভ থাকে না। তিনি আরও বলেন, নতুন লেপ বানানোর চেয়ে অনেকেই এখন পুরনো লেপ খুলে তুলা পরিষ্কার করে নতুন কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন। খরচ কম পড়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এই পথেই ঝুঁকছেন।
শ্রীরামপুর গ্রামের সালমা বেগমের কথায়ও সেই বাস্তবতা “নতুন লেপ বানাতে অনেক টাকা লাগে। তাই পুরনো লেপটা ধুনিয়ে কিছু নতুন তুলা মিশিয়ে বানিয়ে নিলাম। এতে খরচও কম, আর কাজও বেশ ভালো হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্রেতাদের কাছেও দেখা মিলছে বাজারের ভিন্ন রূপ। লেপ তোষক বিক্রেতা সেলিম বিশ্বাস জানান,“তুলার দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই লেপ তোষকের দামও বাড়ছে। ফলে অনেক ক্রেতা এখন লেপের বদলে কম্বল কিনে নিচ্ছেন। বাজারে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের কম্বল পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কিছু চায়না কম্বল তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় সেগুলোর চাহিদা বেশি।


শীত বাড়ছে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধুনকরদের ব্যস্ততা। শীত নিবারণের প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে, তেমনি জীবিকার লড়াইও আছে এর সঙ্গে। শীতের শুরুতে তাই লেপ তোষকের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে মৌসুমী রঙ, গন্ধ আর মানুষের কোলাহল যা দুমকি উপজেলায় শীতের শুরুতেই এ চিত্রটি সবার নজরে আসে।

চবিতে অনুষ্ঠিত হলো ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

দুমকিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ তোষক তৈরির কারিগররা

প্রকাশিত : ০৬:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ  পটুয়াখালীর দুমকিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে লেপ তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে। উপজেলার শহরতলীর বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জের দোকান গুলোতেও নতুনের পাশাপাশি পুরাতন লেপ তোষক মেরামতের কাজ করতে দেখা যায় কারিগরদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। অপরদিকে এক শ্রেণীর ভাসমান ব্যবসায়ীদের গ্রামাঞ্চলে ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতের লেপতোষক ও কম্বল বিক্রি করতে হরহামেসা দেখা যায়। তবে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পিরতলা বাজার, রাজাখালী , বোর্ড অফিস, কদমতলা,আংগারিয়া, লেবুখালী, হাজির হাট ও কলবাড়ী বাজারের লেপ তোষকের দোকানে ভীড় করছেন ক্রেতারা। তুলা পরিষ্কার করা, ধুনন, কাপড়ে মোড়ানো আর সেলাই সব মিলিয়ে কারিগরদের চলছে শীতের মৌসুমী কর্ম ব্যস্ততা।


পিরতলা বাজারের ধুনকর কালাম বিশ্বাস জানান,“বছরজুড়েই লেপ তোষকের কাজ করি। তবে শীতের শুরুতেই ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। এবার তুলা ও কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি। লেপের কাপড়ের দাম প্রতি গজ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, তোষকের কাপড় ৫৫ থেকে ১২০ টাকা। গার্মেন্টস্ তুলা কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১৬০ টাকা, আর শিমুল তুলা ৪০০ টাকা। লেপ বানানোর মজুরি ৩০০-৪০০ টাকা, তোষক ২৫০-৩০০ টাকা। এত কিছুর পর আগের মতো লাভ থাকে না। তিনি আরও বলেন, নতুন লেপ বানানোর চেয়ে অনেকেই এখন পুরনো লেপ খুলে তুলা পরিষ্কার করে নতুন কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন। খরচ কম পড়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এই পথেই ঝুঁকছেন।
শ্রীরামপুর গ্রামের সালমা বেগমের কথায়ও সেই বাস্তবতা “নতুন লেপ বানাতে অনেক টাকা লাগে। তাই পুরনো লেপটা ধুনিয়ে কিছু নতুন তুলা মিশিয়ে বানিয়ে নিলাম। এতে খরচও কম, আর কাজও বেশ ভালো হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্রেতাদের কাছেও দেখা মিলছে বাজারের ভিন্ন রূপ। লেপ তোষক বিক্রেতা সেলিম বিশ্বাস জানান,“তুলার দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই লেপ তোষকের দামও বাড়ছে। ফলে অনেক ক্রেতা এখন লেপের বদলে কম্বল কিনে নিচ্ছেন। বাজারে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের কম্বল পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কিছু চায়না কম্বল তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় সেগুলোর চাহিদা বেশি।


শীত বাড়ছে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধুনকরদের ব্যস্ততা। শীত নিবারণের প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে, তেমনি জীবিকার লড়াইও আছে এর সঙ্গে। শীতের শুরুতে তাই লেপ তোষকের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে মৌসুমী রঙ, গন্ধ আর মানুষের কোলাহল যা দুমকি উপজেলায় শীতের শুরুতেই এ চিত্রটি সবার নজরে আসে।