বেশ অনেকদিনের অপেক্ষার পর এবার অবশেষে অনেকটাই সুখবর হাজির হয়েছে লিভারপুল শিবিরে। জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেন থেকে আসছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। তিন দফায় অলরেডদের বিড প্রত্যাখ্যানের পর অবশেষে উইর্টজের দলবদলে সায় দিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।
দলবদলের অঙ্কটায় অবশ্য শেষ হাসি হেসেছে বায়ার লেভারকুসেন। উইর্টজকে ১২৬ মিলিয়ন পাউন্ডের নিচে ছাড়তে চায়নি তারা। সেটাই হয়েছে। ১২৭ মিলিয়ন পাউন্ড (১৫০ মিলিয়ন ইউরো) দিয়েই উইর্টজকে অ্যানফিল্ডে উড়িয়ে আনছে লিভারপুল কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে যখন জার্মান এই তারকা খেলোয়াড় ইউরোপিয়ান নেশনস লিগের সেমিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলছিলেন, তখনই ক্লাব দুটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যায়।
স্কাই ইতালিয়ার সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো এবং একাধিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দল এরইমাঝে চুক্তির বিষয়ে মৌখিকভাবে রাজি হয়েছে। খুব শীঘ্রই লিভারপুলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য উড়াল দেবেন উইর্টজ। এর আগে লিভারপুল একাধিক প্রস্তাব দিলেও সেগুলো লেভারকুসেনের চাওয়ার চেয়ে কম ছিল। তবে লেভারকুসেনের মূল কোম্পানি বায়ার AG-এর বিবৃতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বরাবরই জানিয়েছিল, ইউর্টজকে কেবলমাত্র ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর আশেপাশে চুক্তিতেই ছাড়া হবে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ২২ বছর বয়েসী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার একইসঙ্গে তিন রেকর্ডে নাম তুলেছেন। চুক্তি শেষে ইউর্টজ সর্বকালের সবচেয়ে দামী জার্মান খেলোয়াড় হবেন। সেইসঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল চুক্তির খেলোয়াড় এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি-তে কেনা খেলোয়াড়ও হবেন তিনি।
অন্যদিকে বায়ার লেভারকুসেন ইতিমধ্যে জার্মান ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার রেকর্ডধারী ক্লাব। তারা ২০২০ সালের গ্রীষ্মে কাই হাভার্টজকে চেলসিতেই ৮০ মিলিয়নে বিক্রি করেছিল। এরপর হাভার্টজ ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জয়সূচক গোল করেন। ২০২৩ সালে তিনি আর্সেনালে যোগ দেন ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। এই দুটি চুক্তির সম্মিলিত মূল্য প্রায় ফ্লোরিয়ান ভির্টজ চুক্তির সমান।
এই ট্রান্সফার লিভারপুলের ইতিহাসেও একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইংলিশ জায়ান্টরা এর আগে কখনোই ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করে কোনো খেলোয়াড় কেনেনি। বর্তমানে ক্লাবের সবচেয়ে দামী চুক্তি হলো ডারউইন নুনিয়েজের জন্য। তাকে ৮৫ মিলিয়নে ২০২২/২৩ মৌসুমের আগে বেনফিকা থেকে আনা হয়।
তাছাড়া, উইর্টজ হবেন বুন্দেসলিগা থেকে প্রিমিয়ার লিগে আসা সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়। আগের রেকর্ড ছিল হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার ডমিনিক সবোসলাইয়ের। তাকে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে লিভারপুলই আরবি লাইপজিগ থেকে ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে এনেছিল।