রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর প্রথম রেসপন্ডিং দল স্কুলে ঢুকে প্রথমেই দুটি মরদেহ দেখতে পায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর ৪৩ রেজিমেন্ট ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রথম রেসপন্ডিং টিম হিসেবে মাইলস্টোন স্কুলে প্রবেশ করি। প্রবেশ করেই দুটি মরদেহ দেখতে পাই। বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে আগুন জ্বলছিল। আগুনের সামনেই দুটি মরদেহ পড়ে ছিল। আমাদের চোখে প্রথম যে দৃশ্যটি ধরা পড়ে, সেটাই ছিল সবচেয়ে কষ্টের। এই স্পটে এসে, ওটা দেখার পরই আমরা আমাদের উদ্ধার কার্যক্রমটা শুরু করি।
দুর্ঘটনার কত সময় পর সেনবাহিনীর সদস্য উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর মেহেদী হাসান বলেন, আমরা এখানে আনুমানিক দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে পৌঁছাই। যেহেতু আমাদের ক্যাম্পের অবস্থান ১০০ থেকে ১৫০ গজের মধ্যে, সেহেতু আমাদের আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
মেহেদী হাসান বলেন, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করার পর মোট আমাদের (সেনাবাহিনী) ২৫ জনের মতো সৈনিক অসুস্থ হয়েছিল, কিন্তু ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে কেউ নেই। বর্তমানে ১১ জন সৈনিক ঢাকার সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ভেতরে কতটা মরদেহ দেখেছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখানে সবাই কাজ করছিলাম, একেকজনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে চেষ্টা করেছি। এখন সঠিক সংখ্যাটা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং যারা হাসপাতালে আছেন, তাদের সমন্বয়ে আসলে আপনারা (সাংবাদিক) পেয়ে যাবেন। আমরা উদ্ধার কার্যক্রমকেই মেইন ফোকাসে রেখে কাজ করেছি, কতজনকে নিয়ে যেতে পেরেছি, আসলে ওই সময় আমাদের ওইটা কাজ করে নাই। আমরা যাদের সামনে পেয়েছি, তাদের একটা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে কাজ করেছি।