ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

বাউফল-পটুাখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩কিলোমিটারে শতাধিক গর্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:১৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী-বাউফল অঞ্চলিক মহাসড়কে ৩কিলোমিটার রাস্তা পাড় হতে শতাধিক গর্ত পাড় হয়ে জেলা সদর ও ঢাকা যেতে হচ্ছে। দূর্ঘটনা ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তটি পাড় হতে হয় সকল যানবাহন। ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকার সাথে যোগাযোগে ঢাক-দশমিনা ও ঢাকা- গলাচিপাগামী যাতীবাহী বাস। অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তার গর্তের জমানো পানিতে নৌকা ছেরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পীচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে রাস্তার মাঝখানে। সেসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে একেকটি নালা বা পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, বাউফল-পটুয়াখালী অঞ্চলিক মহাসড়কে বাউফলসহ দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার প্রায় ১৫লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। সেকারণে সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের জাতায়াত সড়কটিতে। চলে নানা ধরনের যানবাহন।

অটো-রিক্সা, অটো বাইক, মোটরবাইক, টেক্সি, প্রাইভেট, মিনিট্রাক, ভারি ট্রাক ও ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি। সবচেেেয় বেহালদশার সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রীজ থেকে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মিল ঘর পর্যন্ত ৩কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে প্রায় অচল অবস্থা। প্রায় প্রতিদিন যাত্রীবাহি বাস আটকে যায় সড়কের মাঝখানে। ফলে কোন কোন সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েকটি গর্তে বাস থেকে সব যাত্রী নামিয়ে সড়কে গর্ত অতিক্রম করতে হয়। গর্ত পাড় হয়ে আবার যাত্রী গাড়িতে উঠিয়ে চলাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ৩/৪ দিন আগে মাল বোঝাই একটি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে একটি গর্তে পরে আটকে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এসময় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। একই সড়কের সোলাবুনিয়া বাজারে চেয়াম্যান পরিবহনের একটি বাস রাস্তার মাঝের গর্তে পরে আটকে যায়। পরে যাত্রী নামিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় বাসটি সামনের অংশ পুরো ভেঙ্গে যায়। একই বাস ছিদ্দিকের বাজার নামক একটি স্থানে আবরও আটকে যায় এবং একই ভাবে বাসটিকে উদ্ধার করা হয়। এতে ব্যপক ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেক বাস ওই রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সাকুরা পরিবহনের বাসগুলো প্রায় ৩০/৪০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বাউফল উপজেলা সদর হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত কাল বৃহস্পতি বার সকালে আসুরীহাট বাজারের একটি গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে একটি নৌকা ছেরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান।


চেয়ারম্যান পরিবহনের যাত্রী নাসরিন জাহান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকা যাচ্ছি। এর্পন্ত ৩স্থানে বাস থেকে নেমে বাহিরে দাড়িয়েছি। এখন তো বাস আটকে আছে দেখতেই পাচ্ছেন অনেকক্ষণ দাড়িয়ে আছি। কখন ঢাকাতে পৌঁছবো কোন ঠিক নেই। রাস্তার গর্তগুলো অন্তত ইট ফেলে ভরাট করে দিলে অন্তত দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারতাম।
অটোড্রইভার মমিন হাওলাদার বলেন, এপর্যন্ত ১০টিরও বেশি গর্ত আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ইট দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি। বর্ষার কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। ভরাট করা গর্তগুলো আবার ইট উঠে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, বাস চলাচলের কারণে রাস্তাটি ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই রাস্তটিতে স্থায়ী ভাবে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সত্যতা স্বীকার করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা ওই রাস্তার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কাগজ-পত্র ঢাকা পাঠিয়েছি। আগামী সপ্তাহে হয়তো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

বৈষম্যের অভিযোগে সরব দেশের নারী ক্রিকেটাররা

বাউফল-পটুাখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩কিলোমিটারে শতাধিক গর্ত

প্রকাশিত : ০৬:১৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী-বাউফল অঞ্চলিক মহাসড়কে ৩কিলোমিটার রাস্তা পাড় হতে শতাধিক গর্ত পাড় হয়ে জেলা সদর ও ঢাকা যেতে হচ্ছে। দূর্ঘটনা ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তটি পাড় হতে হয় সকল যানবাহন। ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকার সাথে যোগাযোগে ঢাক-দশমিনা ও ঢাকা- গলাচিপাগামী যাতীবাহী বাস। অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তার গর্তের জমানো পানিতে নৌকা ছেরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পীচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে রাস্তার মাঝখানে। সেসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে একেকটি নালা বা পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, বাউফল-পটুয়াখালী অঞ্চলিক মহাসড়কে বাউফলসহ দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার প্রায় ১৫লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। সেকারণে সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের জাতায়াত সড়কটিতে। চলে নানা ধরনের যানবাহন।

অটো-রিক্সা, অটো বাইক, মোটরবাইক, টেক্সি, প্রাইভেট, মিনিট্রাক, ভারি ট্রাক ও ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি। সবচেেেয় বেহালদশার সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রীজ থেকে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মিল ঘর পর্যন্ত ৩কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে প্রায় অচল অবস্থা। প্রায় প্রতিদিন যাত্রীবাহি বাস আটকে যায় সড়কের মাঝখানে। ফলে কোন কোন সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েকটি গর্তে বাস থেকে সব যাত্রী নামিয়ে সড়কে গর্ত অতিক্রম করতে হয়। গর্ত পাড় হয়ে আবার যাত্রী গাড়িতে উঠিয়ে চলাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ৩/৪ দিন আগে মাল বোঝাই একটি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে একটি গর্তে পরে আটকে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এসময় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। একই সড়কের সোলাবুনিয়া বাজারে চেয়াম্যান পরিবহনের একটি বাস রাস্তার মাঝের গর্তে পরে আটকে যায়। পরে যাত্রী নামিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় বাসটি সামনের অংশ পুরো ভেঙ্গে যায়। একই বাস ছিদ্দিকের বাজার নামক একটি স্থানে আবরও আটকে যায় এবং একই ভাবে বাসটিকে উদ্ধার করা হয়। এতে ব্যপক ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেক বাস ওই রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সাকুরা পরিবহনের বাসগুলো প্রায় ৩০/৪০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বাউফল উপজেলা সদর হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত কাল বৃহস্পতি বার সকালে আসুরীহাট বাজারের একটি গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে একটি নৌকা ছেরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান।


চেয়ারম্যান পরিবহনের যাত্রী নাসরিন জাহান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকা যাচ্ছি। এর্পন্ত ৩স্থানে বাস থেকে নেমে বাহিরে দাড়িয়েছি। এখন তো বাস আটকে আছে দেখতেই পাচ্ছেন অনেকক্ষণ দাড়িয়ে আছি। কখন ঢাকাতে পৌঁছবো কোন ঠিক নেই। রাস্তার গর্তগুলো অন্তত ইট ফেলে ভরাট করে দিলে অন্তত দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারতাম।
অটোড্রইভার মমিন হাওলাদার বলেন, এপর্যন্ত ১০টিরও বেশি গর্ত আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ইট দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি। বর্ষার কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। ভরাট করা গর্তগুলো আবার ইট উঠে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, বাস চলাচলের কারণে রাস্তাটি ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই রাস্তটিতে স্থায়ী ভাবে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সত্যতা স্বীকার করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা ওই রাস্তার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কাগজ-পত্র ঢাকা পাঠিয়েছি। আগামী সপ্তাহে হয়তো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।