পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে টানা দ্বিতীয়বার দেশসেরা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা।
চলতি বছরের মে ও জুন মাসে যথাক্রমে ২৯৮ ও ২৩৩ শতাংশ নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ গৌরব অর্জন করে এই উপজেলা। উপজেলায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ শতাংশ। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এই কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হককে পুরস্কৃত করেছে। শূন্য থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের ওপর এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। পটুয়াখারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, মে মাসে দুমকী উপজেলার জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৮টি। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয় ৩৮৩টি। মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫টি। অর্জিত হয়েছিল ১০৪টি। শতাংশের হিসাবে এ উপজেলায় জন্ম নিবন্ধনের কাজ হয়েছে ২৯৯ শতাংশ। মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ হয়েছে ২৯৭ শতাংশ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন গড়ে ২৯৮ শতাংশ। যেটা ছিল সারা দেশের মধ্যে শীর্ষে।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসাইন জানান, মে মাসে তার ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ এবং মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ জন। তবে ওই মাসে অর্জিত হয়েছে যথাক্রমে ৮৭ ও ২১ জন। অপরদিকে জুন মাসে একই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৮৫ ও ১২ জন।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হকের নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, গ্রাম পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি অর্জিত হয়েছে।
গ্রাম পুলিশের অন্যতৃ দায়িত্ব হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করা। তারা সাগ্রহে এসব তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন । ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আমরাও টিকা কেন্দ্রের তালিকা সংগ্রহ করে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। এতে এই ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়েছে। এখন অধিকাংশ অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, দুমকি উপজেলা টানা দুইবার দেশসেরা হওয়ায় আমি আনন্দিত। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা প্রত্যেকে এ কাজে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি টিম লিডার হিসেবে নিয়মিত তদারকি করেছি।
এ ব্যাপারে পটুযাখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ জুয়েল রানা বলেন, সমন্বিত টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা এটি অর্জন করতে পেরেছি। এমন অসাধারণ অর্জনের জন্য আমরা দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে শুভেচ্ছা স্মারক দিয়ে সম্মাননা জানিয়েছি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পটুয়াখালী জেলা দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে এখানকার জনসাধারনের সচেতনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।