ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

করফাঁকির অভিনব কৌশল করেও শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা জালে করদাতা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে

আয়কর ফাঁকি দিতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় দুষ্টচক্র। তবে দিন শেষে কর ফাঁকির সব কৌশলই ধরা পড়ে যায়। আয়কর গোয়েন্দাদের জালে এবার আটকা পড়েছে এফডিআর ব্যবহার করে কর ফাঁকি দেওয়ার এক অভিনব কৌশল।

একজন করদাতা ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) হিসেবে রাখেন। এফডিআর থেকে সুদ-আসলসহ মূলধন থাকলেও জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি সব এফডিআর ভেঙে ফেলেন। ফলে ৩০ জুন ব্যাংক হিসাবে তাঁর শূন্য টাকা দেখায়। এই শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়েই তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। অর্থাৎ, কাগজে-কলমে আয় শূন্য, তাই করও শূন্য।

রিটার্ন জমা দিয়ে জুলাই মাসেই ওই করদাতা পুনরায় এফডিআর জমা করেন। শুধু নিজের নামে নয়, স্ত্রীর নামেও একই কৌশলে এফডিআর করে তা ভেঙে শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিরঞ্জন ঘোষ নামের ওই করদাতা এএএ প্লাস অ্যাক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এছাড়াও, আইনজীবী হিসেবে তার আরও একটি পরিচয় আছে।

আয়কর গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে নিরঞ্জন ও তার স্ত্রী প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা আড়াল করে দিনের পর দিন ধরে কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে দুই করদাতার সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রকিব  বলেন, রিটার্নে এফডিআর দেখানো নেই। ৩০ জুনের আগে এফডিআর ভেঙে ‘ব্যালেন্স শূন্য’ করা হয়। ৩০ জুনের পর আবার সেই টাকা এফডিআরে জমা হয়। রিটার্নে ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়ে করফাঁকি দিতে এমন অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ওই করদাতা।

তিনি আরও বলেন, কর ফাঁকির এমন নতুন কৌশল সামনে আসার পর আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। করদাতা যত কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, কর ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসবেই।

তদন্তকাজে জড়িত আয়কর বিভাগের একজন কর্মকর্তা  বলেন, ৩০ জুনের আগে আগেই ‘ব্যালেন্স’ শূন্য করা। সেই শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়ে রিটার্ন দেওয়ার তথ্য তো নতুন কৌশল। একজন আইনজীবীর কাছে এমন কৌশল আশা করা যায় না। তবে, এ বছর থেকে সবার ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো করদাতা এমন করলে বিপদে পড়বেন। কারণ ওই করদাতার তথ্য ব্যাংক থেকে অটো যাচাই হবে। ফলে যেসব করদাতা এই অপকৌশলের আশ্রয় নেবেন, তারা জরিমানাসহ শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

আয়কর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিরঞ্জন ঘোষ ও তার স্ত্রী অন্তরা ঘোষের সর্বশেষ ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন যাচাই করা হয়। যেখানে দেখা যায়— তিনি ২০২৪-২৫ করবর্ষে নামমাত্র ব্যক্তিগত আয় দেখিয়েছেন। এ ছাড়া, মৎস্য খাত (মৎস্য আয়ের প্রমাণপত্র নেই) ও ব্যবসা থেকেও নামমাত্র আয় দেখিয়েছেন। তবে তিনি নিট সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার। নামমাত্র আয় দেখানো ও ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স ‘শূন্য’ দেখানোর ফলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অনুসন্ধানে নেমে প্রথমে এই দুই করদাতার ব্যাংক তল্লাশি দেন। যেখানে চলতি বছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে সাউথইস্ট ব্যাংক কাকরাইল শাখায় চারটি এফডিআর ভেঙে সুদসহ প্রায় ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। এতে তার ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়।

এ ছাড়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি শাখায় এফডিআর ভেঙে সুদসহ এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। এই দুই ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার পে-অর্ডার নিয়েছেন এই করদাতা। কিন্তু সর্বশেষ করবর্ষের রিটার্নে এই এফডিআর করা ও ভেঙে ফেলার বিষয় উল্লেখ করেননি।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, গত ৭ জুলাই করদাতা নিরঞ্জন ঘোষ সাউথইস্ট ব্যাংক করপোরেট শাখায় ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার ১২টি এফডিআর করেন। অর্থাৎ সাউথইস্ট ব্যাংক কাকরাইল শাখা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে জুনের শেষ সপ্তাহে এফডিআর ভাঙিয়ে নেওয়া পে-অর্ডারের টাকার সঙ্গে আরও প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা যোগ করে মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার নতুন করে এফডিআর করেন। অথচ রিটার্নের সঙ্গে জমা দেওয়া ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়েছেন।

তিনি এই ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা রিটার্নে দেখাননি। এখন পর্যন্ত জরিমানাসহ প্রায় চার কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

শুধু ২০২৪-২৫ করবর্ষ নয়, করদাতা নিরঞ্জন ঘোষ ও তার স্ত্রী অন্তরা ঘোষ একইভাবে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ করবর্ষেও ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়ে আসছেন। এই ছয় করবর্ষের রিটার্ন যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া, এই দুই করদাতার আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

জানা যায়, অভিযুক্ত নিরঞ্জন ঘোষের খিলগাঁও এলাকায় এএএ প্লাস অ্যাক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে তিনি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এই দুই করদাতার অন্যান্য আয়, ব্যাংকের তথ্য ও কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার কাজ চলমান রয়েছে।

এফডিআরের তথ্য রিটার্নে গোপনের বিষয়ে জানতে নিরঞ্জন ঘোষকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দিলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করফাঁকির অভিনব কৌশল করেও শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা জালে করদাতা

প্রকাশিত : ০৫:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

আয়কর ফাঁকি দিতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় দুষ্টচক্র। তবে দিন শেষে কর ফাঁকির সব কৌশলই ধরা পড়ে যায়। আয়কর গোয়েন্দাদের জালে এবার আটকা পড়েছে এফডিআর ব্যবহার করে কর ফাঁকি দেওয়ার এক অভিনব কৌশল।

একজন করদাতা ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) হিসেবে রাখেন। এফডিআর থেকে সুদ-আসলসহ মূলধন থাকলেও জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি সব এফডিআর ভেঙে ফেলেন। ফলে ৩০ জুন ব্যাংক হিসাবে তাঁর শূন্য টাকা দেখায়। এই শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়েই তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। অর্থাৎ, কাগজে-কলমে আয় শূন্য, তাই করও শূন্য।

রিটার্ন জমা দিয়ে জুলাই মাসেই ওই করদাতা পুনরায় এফডিআর জমা করেন। শুধু নিজের নামে নয়, স্ত্রীর নামেও একই কৌশলে এফডিআর করে তা ভেঙে শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিরঞ্জন ঘোষ নামের ওই করদাতা এএএ প্লাস অ্যাক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এছাড়াও, আইনজীবী হিসেবে তার আরও একটি পরিচয় আছে।

আয়কর গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে নিরঞ্জন ও তার স্ত্রী প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা আড়াল করে দিনের পর দিন ধরে কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে দুই করদাতার সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রকিব  বলেন, রিটার্নে এফডিআর দেখানো নেই। ৩০ জুনের আগে এফডিআর ভেঙে ‘ব্যালেন্স শূন্য’ করা হয়। ৩০ জুনের পর আবার সেই টাকা এফডিআরে জমা হয়। রিটার্নে ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়ে করফাঁকি দিতে এমন অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ওই করদাতা।

তিনি আরও বলেন, কর ফাঁকির এমন নতুন কৌশল সামনে আসার পর আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। করদাতা যত কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, কর ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসবেই।

তদন্তকাজে জড়িত আয়কর বিভাগের একজন কর্মকর্তা  বলেন, ৩০ জুনের আগে আগেই ‘ব্যালেন্স’ শূন্য করা। সেই শূন্য ব্যালেন্স দেখিয়ে রিটার্ন দেওয়ার তথ্য তো নতুন কৌশল। একজন আইনজীবীর কাছে এমন কৌশল আশা করা যায় না। তবে, এ বছর থেকে সবার ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো করদাতা এমন করলে বিপদে পড়বেন। কারণ ওই করদাতার তথ্য ব্যাংক থেকে অটো যাচাই হবে। ফলে যেসব করদাতা এই অপকৌশলের আশ্রয় নেবেন, তারা জরিমানাসহ শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

আয়কর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিরঞ্জন ঘোষ ও তার স্ত্রী অন্তরা ঘোষের সর্বশেষ ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন যাচাই করা হয়। যেখানে দেখা যায়— তিনি ২০২৪-২৫ করবর্ষে নামমাত্র ব্যক্তিগত আয় দেখিয়েছেন। এ ছাড়া, মৎস্য খাত (মৎস্য আয়ের প্রমাণপত্র নেই) ও ব্যবসা থেকেও নামমাত্র আয় দেখিয়েছেন। তবে তিনি নিট সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার। নামমাত্র আয় দেখানো ও ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স ‘শূন্য’ দেখানোর ফলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অনুসন্ধানে নেমে প্রথমে এই দুই করদাতার ব্যাংক তল্লাশি দেন। যেখানে চলতি বছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে সাউথইস্ট ব্যাংক কাকরাইল শাখায় চারটি এফডিআর ভেঙে সুদসহ প্রায় ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। এতে তার ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়।

এ ছাড়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি শাখায় এফডিআর ভেঙে সুদসহ এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। এই দুই ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার পে-অর্ডার নিয়েছেন এই করদাতা। কিন্তু সর্বশেষ করবর্ষের রিটার্নে এই এফডিআর করা ও ভেঙে ফেলার বিষয় উল্লেখ করেননি।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, গত ৭ জুলাই করদাতা নিরঞ্জন ঘোষ সাউথইস্ট ব্যাংক করপোরেট শাখায় ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার ১২টি এফডিআর করেন। অর্থাৎ সাউথইস্ট ব্যাংক কাকরাইল শাখা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে জুনের শেষ সপ্তাহে এফডিআর ভাঙিয়ে নেওয়া পে-অর্ডারের টাকার সঙ্গে আরও প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা যোগ করে মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার নতুন করে এফডিআর করেন। অথচ রিটার্নের সঙ্গে জমা দেওয়া ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়েছেন।

তিনি এই ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা রিটার্নে দেখাননি। এখন পর্যন্ত জরিমানাসহ প্রায় চার কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

শুধু ২০২৪-২৫ করবর্ষ নয়, করদাতা নিরঞ্জন ঘোষ ও তার স্ত্রী অন্তরা ঘোষ একইভাবে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ করবর্ষেও ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স শূন্য দেখিয়ে আসছেন। এই ছয় করবর্ষের রিটার্ন যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া, এই দুই করদাতার আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

জানা যায়, অভিযুক্ত নিরঞ্জন ঘোষের খিলগাঁও এলাকায় এএএ প্লাস অ্যাক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে তিনি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এই দুই করদাতার অন্যান্য আয়, ব্যাংকের তথ্য ও কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার কাজ চলমান রয়েছে।

এফডিআরের তথ্য রিটার্নে গোপনের বিষয়ে জানতে নিরঞ্জন ঘোষকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দিলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।