ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

অফিস টাইম নিয়ে সতর্কতা কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৮ বার দেখা হয়েছে

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার ১৪ হাজার কমিউনিটি কেয়ার প্রোভাইডারের চাকরি স্থায়ীকরণ করায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এখন মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী এবং তাদের দায়িত্ব বেড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের চাকরি স্থায়ীকরণ সিদ্ধান্তের পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রমে ৯০% উন্নতি দেখা গেছে। তবে কিছু জায়গায় কিছু সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু তা অল্প সংখ্যক।

বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মো. আক্তারুজ্জামান।

সেমিনারে তিনি বলেন, এখন আর কোনও বিকল্প নেই, আপনাদের অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাই প্রত্যেক কর্মীকে তাদের দায়বদ্ধতা বুঝে আরও ভালো কাজ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রদান করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “দুই এক জায়গায় সমস্যা থাকতে পারে, বিশেষত নারী সিএইচসিপিরা যারা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। আর পুরুষ কর্মীরা সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করছেন, সেখানে এক দু’দিন সমস্যা হতে পারে, তবে এটি পুরো সিস্টেমের গতি নষ্ট করে না।”

তবে তিনি সবার জন্য আরও বেশি দায়বদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, “সরকার আপনাদের চাকরি নিশ্চিত করেছে, এখন সরকারের কাছে আপনাদের পালা। দায়িত্ব বাড়িয়েছে, সেবার মানও বাড়াতে হবে।”

কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিবেশ ও সেবা আরও উন্নত করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করেন তিনি। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাম সহকারী নিয়োগ, সোলার সিস্টেম স্থাপন এবং মোবাইল চার্জিং ফ্যাসিলিটি চালু করা।

তিনি জানান, “আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সোলার সিস্টেম স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে প্রতিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থা হবে এবং যেখানে বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য মোবাইল চার্জ করার সুবিধাও থাকবে।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চলের জনগণের জন্য কার্যকর হবে।

আক্তারুজ্জামান আরও জানান, সামাজিক সেবা ও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা আরও আরও সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, যা ভবিষ্যতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাকে আরও উন্নত করবে।

মো. আক্তারুজ্জামানের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, সরকারের সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি, কর্মীদের মনোবলও বাড়ানো হয়েছে। নতুন উদ্যোগগুলো বিশেষভাবে গ্রামীণ জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো এবং পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ময়মনসিংহ) মুফিদুল আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের মাঠ প্রশাসনের পরিচালক আসিফ মাহমুদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ময়মনসিংহের বিভাগীয় পরিচালক মো. মতিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।

অফিস টাইম নিয়ে সতর্কতা কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের

প্রকাশিত : ০৯:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার ১৪ হাজার কমিউনিটি কেয়ার প্রোভাইডারের চাকরি স্থায়ীকরণ করায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এখন মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী এবং তাদের দায়িত্ব বেড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের চাকরি স্থায়ীকরণ সিদ্ধান্তের পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রমে ৯০% উন্নতি দেখা গেছে। তবে কিছু জায়গায় কিছু সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু তা অল্প সংখ্যক।

বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মো. আক্তারুজ্জামান।

সেমিনারে তিনি বলেন, এখন আর কোনও বিকল্প নেই, আপনাদের অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাই প্রত্যেক কর্মীকে তাদের দায়বদ্ধতা বুঝে আরও ভালো কাজ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রদান করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “দুই এক জায়গায় সমস্যা থাকতে পারে, বিশেষত নারী সিএইচসিপিরা যারা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। আর পুরুষ কর্মীরা সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করছেন, সেখানে এক দু’দিন সমস্যা হতে পারে, তবে এটি পুরো সিস্টেমের গতি নষ্ট করে না।”

তবে তিনি সবার জন্য আরও বেশি দায়বদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, “সরকার আপনাদের চাকরি নিশ্চিত করেছে, এখন সরকারের কাছে আপনাদের পালা। দায়িত্ব বাড়িয়েছে, সেবার মানও বাড়াতে হবে।”

কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিবেশ ও সেবা আরও উন্নত করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করেন তিনি। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাম সহকারী নিয়োগ, সোলার সিস্টেম স্থাপন এবং মোবাইল চার্জিং ফ্যাসিলিটি চালু করা।

তিনি জানান, “আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সোলার সিস্টেম স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে প্রতিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থা হবে এবং যেখানে বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য মোবাইল চার্জ করার সুবিধাও থাকবে।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চলের জনগণের জন্য কার্যকর হবে।

আক্তারুজ্জামান আরও জানান, সামাজিক সেবা ও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা আরও আরও সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, যা ভবিষ্যতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাকে আরও উন্নত করবে।

মো. আক্তারুজ্জামানের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, সরকারের সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি, কর্মীদের মনোবলও বাড়ানো হয়েছে। নতুন উদ্যোগগুলো বিশেষভাবে গ্রামীণ জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো এবং পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ময়মনসিংহ) মুফিদুল আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের মাঠ প্রশাসনের পরিচালক আসিফ মাহমুদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ময়মনসিংহের বিভাগীয় পরিচালক মো. মতিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।