ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সেন্ট্রাল ইটিপি চায় হাসপাতাল মালিকরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরল মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল ইটিপি’ (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান মালিকরা। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানান তারা।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জে নগর ভবনের পঞ্চম তলায় অনুষ্ঠিত ‘মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। নাসিক সচিব নূর কুতুবুল আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৯৫টি বেসরকারি হাসপাতালসহ সরকারি দুটি হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে বেসরকারি সংস্থা প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি অটোক্লেভিং, ক্লোরিনেশন ও ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে। ব্যবহৃত সুই-সিরিঞ্জ কংক্রিট ট্যাংকে চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া বর্জ্য আলাদা ঝুড়িতে সংগ্রহ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রিজম শুধু কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করে, তরল বর্জ্য সংগ্রহের কোনো ব্যবস্থা নেই। তরল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরও ছাড়পত্র নবায়নে জটিলতা তৈরি করে। প্রিজমও স্বীকার করে, তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের কোনো সক্ষমতা নেই।

এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতাল মালিকরা সরকারি উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল ইটিপি’ স্থাপনের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিক সচিব নূর কুতুবুল আলম বলেন, সেন্ট্রাল ইটিপি করা গেলে খুবই ভালো হবে। তবে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে বাজেটের সীমাবদ্ধতায় এটি করা সম্ভব নয়। বেসরকারি হাসপাতালের ধনাঢ্য মালিকদের সহযোগিতায় উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, সকল কাগজপত্র সঠিক না থাকলে সরকারি দপ্তর ছাড়পত্র দেবে না, এটা স্বাভাবিক। কারণ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেই জবাবদিহি করতে হয়। নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে যারা আছেন তারাই কোন কোন কাগজ লাগবে তা ঠিক করেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এসব মনিটর করে থাকে। তাই নিয়মের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দাবিটা যৌক্তিক।

সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম, প্রিজম বাংলাদেশের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হুজ্জাতুল ইসলাম, প্রাইভেট হাসপাতাল-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম, সিটি লাইফ হাসপাতালের এমডি কবির হোসেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সেন্ট্রাল ইটিপি চায় হাসপাতাল মালিকরা

প্রকাশিত : ০৬:১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরল মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল ইটিপি’ (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান মালিকরা। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানান তারা।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জে নগর ভবনের পঞ্চম তলায় অনুষ্ঠিত ‘মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। নাসিক সচিব নূর কুতুবুল আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৯৫টি বেসরকারি হাসপাতালসহ সরকারি দুটি হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে বেসরকারি সংস্থা প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি অটোক্লেভিং, ক্লোরিনেশন ও ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে। ব্যবহৃত সুই-সিরিঞ্জ কংক্রিট ট্যাংকে চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া বর্জ্য আলাদা ঝুড়িতে সংগ্রহ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রিজম শুধু কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করে, তরল বর্জ্য সংগ্রহের কোনো ব্যবস্থা নেই। তরল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরও ছাড়পত্র নবায়নে জটিলতা তৈরি করে। প্রিজমও স্বীকার করে, তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের কোনো সক্ষমতা নেই।

এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতাল মালিকরা সরকারি উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল ইটিপি’ স্থাপনের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিক সচিব নূর কুতুবুল আলম বলেন, সেন্ট্রাল ইটিপি করা গেলে খুবই ভালো হবে। তবে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে বাজেটের সীমাবদ্ধতায় এটি করা সম্ভব নয়। বেসরকারি হাসপাতালের ধনাঢ্য মালিকদের সহযোগিতায় উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, সকল কাগজপত্র সঠিক না থাকলে সরকারি দপ্তর ছাড়পত্র দেবে না, এটা স্বাভাবিক। কারণ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেই জবাবদিহি করতে হয়। নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে যারা আছেন তারাই কোন কোন কাগজ লাগবে তা ঠিক করেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এসব মনিটর করে থাকে। তাই নিয়মের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দাবিটা যৌক্তিক।

সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম, প্রিজম বাংলাদেশের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হুজ্জাতুল ইসলাম, প্রাইভেট হাসপাতাল-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম, সিটি লাইফ হাসপাতালের এমডি কবির হোসেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।