ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

পুজোর পরে পড়তে বসতে নারাজ খুদে, বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তা কাটাতে মানতে পারেন ৫ পরামর্শ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:২২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

দুর্গাপুজো শেষ। ভরাক্রান্ত মন বাঙালির। কিন্তু মনখারাপের মধ্যেই ছুটির আমেজ কাটিয়ে কাজে ফিরতে হবে। এ রকম সময়ে ছোটদের সমস্যা বাড়ে। কারণ, ছুটির পর তারা সহজে পড়াশোনায় ফিরতে চায় না। পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলতে এখনও দেরি আছে। আর খোলার পরেই পরীক্ষা। তাই এখন থেকেই সন্তানকে পুরনো রুটিনে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের কাজে আসবে কয়েকটি কৌশল।

১) উৎসবের দিনে ছোটদের ঘুম থেকে ওঠা বা ঘুমোতে যাওয়ার সময়ের পরিবর্তন ঘটে। তাই পুজোর পর আগে তাদের সেই পুরনো রুটিনে ফেরা প্রয়োজন। তার ফলে স্কুল শুরু হলে, তাদের সমস্যা হবে না।

২) পুজোর সময়ে খাওয়াদাওয়ার সময়েরও পরিবর্তন ঘটে। যত দ্রুত সম্ভব পুরোনো অভ্যাসে ফেরা উচিত। তার ফলে দেহ এবং মস্তিষ্ক বুঝতে পারবে ছুটি শেষ। ফলে পড়াশোনার প্রতি নতুন করে সন্তানের আগ্রহ তৈরি হবে।

৩) প্রথমেই সন্তানকে দীর্ঘ ক্ষণ পড়তে বসার জন্য জোর করা উচিত নয়। ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় ধার্য করা যেতে পারে। তার পর সে ছোট্ট বিরতি নিতে পারে। এই সময়ে ছোটদের পছন্দের বিষয়টিই তাদের পড়ানো উচিত। তার ফলে তাদের মনে পড়াশোনা নিয়ে বিরক্তির উদ্রেক ঘটবে না।

৪) ছোটদের মধ্যে অনেকেই স্কুলে যেতে পছন্দ করে না। ছুটির মধ্যেই স্কুলের শিক্ষক, সন্তানের বন্ধু এবং খেলাধুলো নিয়ে তাদের উৎসাহিত করা উচিত। পরিবারের মধ্যে স্কুল এবং পড়াশোনা সম্পর্কে ইতিবাচক কথোপকথন সন্তানের মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনবে।

৫) পুজোর ছুটিতে সন্তানের পড়ার টেবিলে ধুলো জমেছে। ছুটি শেষে পড়ার টেবিলটি তাকেই গুছিয়ে রাখতে বলা যেতে পারে। বই-খাতা নেড়েচেড়ে দেখার মাধ্যমে তার পুরনো কথা মনে পড়তে পারে। এই ভাবেও পড়াশোনার প্রতি তার একাগ্রতা তৈরি হতে পারে।

পুজোর পরে পড়তে বসতে নারাজ খুদে, বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তা কাটাতে মানতে পারেন ৫ পরামর্শ

প্রকাশিত : ০৭:২২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

দুর্গাপুজো শেষ। ভরাক্রান্ত মন বাঙালির। কিন্তু মনখারাপের মধ্যেই ছুটির আমেজ কাটিয়ে কাজে ফিরতে হবে। এ রকম সময়ে ছোটদের সমস্যা বাড়ে। কারণ, ছুটির পর তারা সহজে পড়াশোনায় ফিরতে চায় না। পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলতে এখনও দেরি আছে। আর খোলার পরেই পরীক্ষা। তাই এখন থেকেই সন্তানকে পুরনো রুটিনে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের কাজে আসবে কয়েকটি কৌশল।

১) উৎসবের দিনে ছোটদের ঘুম থেকে ওঠা বা ঘুমোতে যাওয়ার সময়ের পরিবর্তন ঘটে। তাই পুজোর পর আগে তাদের সেই পুরনো রুটিনে ফেরা প্রয়োজন। তার ফলে স্কুল শুরু হলে, তাদের সমস্যা হবে না।

২) পুজোর সময়ে খাওয়াদাওয়ার সময়েরও পরিবর্তন ঘটে। যত দ্রুত সম্ভব পুরোনো অভ্যাসে ফেরা উচিত। তার ফলে দেহ এবং মস্তিষ্ক বুঝতে পারবে ছুটি শেষ। ফলে পড়াশোনার প্রতি নতুন করে সন্তানের আগ্রহ তৈরি হবে।

৩) প্রথমেই সন্তানকে দীর্ঘ ক্ষণ পড়তে বসার জন্য জোর করা উচিত নয়। ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় ধার্য করা যেতে পারে। তার পর সে ছোট্ট বিরতি নিতে পারে। এই সময়ে ছোটদের পছন্দের বিষয়টিই তাদের পড়ানো উচিত। তার ফলে তাদের মনে পড়াশোনা নিয়ে বিরক্তির উদ্রেক ঘটবে না।

৪) ছোটদের মধ্যে অনেকেই স্কুলে যেতে পছন্দ করে না। ছুটির মধ্যেই স্কুলের শিক্ষক, সন্তানের বন্ধু এবং খেলাধুলো নিয়ে তাদের উৎসাহিত করা উচিত। পরিবারের মধ্যে স্কুল এবং পড়াশোনা সম্পর্কে ইতিবাচক কথোপকথন সন্তানের মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনবে।

৫) পুজোর ছুটিতে সন্তানের পড়ার টেবিলে ধুলো জমেছে। ছুটি শেষে পড়ার টেবিলটি তাকেই গুছিয়ে রাখতে বলা যেতে পারে। বই-খাতা নেড়েচেড়ে দেখার মাধ্যমে তার পুরনো কথা মনে পড়তে পারে। এই ভাবেও পড়াশোনার প্রতি তার একাগ্রতা তৈরি হতে পারে।