ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০ বার দেখা হয়েছে

পতিত শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। শুক্রবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পেস্টে এ কথা জানান তিনি।

আজাদ মজুমদার বলেন, কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে অনেকের মনেই দু:খ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে কেন জাদুঘর বানাতে হবে। তাদের ভাষ্যয় ‘জাদুঘর হবে জাদুঘরের জায়গায়।’

তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিলোনা। এটা মূলত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করতোয়া যাকে পরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বানানো হয়েছে। একটা সময় এখানে বসেই গুম, খুন, লুটপাটের সব আয়োজন সহ জুলাই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব বলেন, ইতিহাসে একটু চোখ রাখলেই দেখা যাবে এরকম অনেক স্থানেই পরে জাদুঘর বানানো হয়েছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পোল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এখন একটি জাদুঘর। হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার স্থান এখন একটি শান্তি পার্ক এবং জাদুঘর হিসাবে সংরক্ষিত।

আজাদ মজুমদার বলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ভূগর্ভস্থ কু চি টানেল নেটওয়ার্ক এখন একটি যুদ্ধ জাদুঘর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গেটিসবার্গ ব্যাটেলফিল্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহযুদ্ধের স্থান। এটি এখন একটি জাদুঘর এবং গেটিসবার্গ জাতীয় সামরিক উদ্যানের অংশ।

তিনি বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলাকে যেখানে বন্দী করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন আইল্যান্ডের সেই কারাগার এখন একটি জাদুঘর।

আজাদ মজুমদার বলেন, প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ ভেঙে ফেলা হলেও এর কিছু অংশ সংরক্ষিত এবং ফরাসি বিপ্লবের জাদুঘর হিসাবে রাখা হয়েছে। ভারতে ১৯১৯ সালের গণহত্যার স্থান জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যান ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারের লুকানোর স্থান আমস্টারডামে এখন একটি জাদুঘর।

তিনি বলেন, গণভবন জাদুঘর হলে তাদেরই সমস্যা, যাদের কাছে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ একটা মামুলি ঘটনা এবং যারা আশায় আছেন এই হত্যাকারীরা ফিরবে।

গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না

প্রকাশিত : ১১:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

পতিত শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। শুক্রবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পেস্টে এ কথা জানান তিনি।

আজাদ মজুমদার বলেন, কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে অনেকের মনেই দু:খ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে কেন জাদুঘর বানাতে হবে। তাদের ভাষ্যয় ‘জাদুঘর হবে জাদুঘরের জায়গায়।’

তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিলোনা। এটা মূলত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করতোয়া যাকে পরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বানানো হয়েছে। একটা সময় এখানে বসেই গুম, খুন, লুটপাটের সব আয়োজন সহ জুলাই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব বলেন, ইতিহাসে একটু চোখ রাখলেই দেখা যাবে এরকম অনেক স্থানেই পরে জাদুঘর বানানো হয়েছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পোল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এখন একটি জাদুঘর। হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার স্থান এখন একটি শান্তি পার্ক এবং জাদুঘর হিসাবে সংরক্ষিত।

আজাদ মজুমদার বলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ভূগর্ভস্থ কু চি টানেল নেটওয়ার্ক এখন একটি যুদ্ধ জাদুঘর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গেটিসবার্গ ব্যাটেলফিল্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহযুদ্ধের স্থান। এটি এখন একটি জাদুঘর এবং গেটিসবার্গ জাতীয় সামরিক উদ্যানের অংশ।

তিনি বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলাকে যেখানে বন্দী করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন আইল্যান্ডের সেই কারাগার এখন একটি জাদুঘর।

আজাদ মজুমদার বলেন, প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ ভেঙে ফেলা হলেও এর কিছু অংশ সংরক্ষিত এবং ফরাসি বিপ্লবের জাদুঘর হিসাবে রাখা হয়েছে। ভারতে ১৯১৯ সালের গণহত্যার স্থান জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যান ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারের লুকানোর স্থান আমস্টারডামে এখন একটি জাদুঘর।

তিনি বলেন, গণভবন জাদুঘর হলে তাদেরই সমস্যা, যাদের কাছে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ একটা মামুলি ঘটনা এবং যারা আশায় আছেন এই হত্যাকারীরা ফিরবে।