ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-মাদকের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:৩৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে লংমার্চ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এসব অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় লংমার্চের পথসভায় তিনি বলেন, আমরা এই লংমার্চ করছি পঞ্চগড়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে।

সারজিস আলম স্থানীয় জনগণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই জুলাই অভ্যুত্থানে কতজন রাজনীতিকের সন্তান প্রাণ দিয়েছে, একবার হিসাব করে দেখুন। জীবন দিয়েছে সাধারণ মানুষ, শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা। অথচ কিছু তথাকথিত রাজনীতিবিদ ফায়দা লুটে নিচ্ছে, এই অবস্থা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাঁচ-দশজন চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, সিন্ডিকেটচালক ও মাদক ব্যবসায়ী উপজেলা ও জেলাগুলোকে শোষণ করছে। এজন্যই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আমরা নেমেছি, যাতে মানুষ সচেতন হয় এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়।

স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকেন, তাহলে অল্প কয়েকজন সবকিছু দখল করে নেবে। ভবিষ্যতে আপনার ভূমিধসে সব হারিয়ে যাবে-বাড়ি, সন্তানদের পড়াশোনা, চিকিৎসা সব বন্ধ হয়ে যাবে।

নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, আপনারা যাদের নেতা বানান, তাদের সন্তানরা আমেরিকায় পড়ে, আর আপনারা রোদে পুড়ে দিন কাটান। এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। স্থানীয় নেতাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।

বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত সুনাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার কমিটিতে কিছু চাঁদাবাজ ও কালো চরিত্রের মানুষ রয়েছে, যারা তেঁতুলিয়ার মানুষকে শোষণ করছে।

সারজিস আলম বলেন, কে কোন রাজনৈতিক দলে আছেন- বিএনপি বা জামায়াত তা বড় কথা নয়। যারা সৎ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন, আমরা তাদের সমর্থন করবো, সহযোগিতা করবো, পরামর্শ নেবো। তবে একশ জনের মধ্যে যদি পাঁচজন খারাপ থাকে, আজ থেকেই তারা আমাদের শত্রু। আমরা তাদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করবো।

এর আগে দুপুরে পঞ্চগড় পৌর শহরের সুগার মিল এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে এই লংমার্চের উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। তিনি নিজেই একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়।

পথিমধ্যে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লংমার্চে জেলার পাঁচ উপজেলার এনসিপি নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল দুর্নীতিবিরোধী নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।

দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-মাদকের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ০১:৩৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে লংমার্চ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এসব অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় লংমার্চের পথসভায় তিনি বলেন, আমরা এই লংমার্চ করছি পঞ্চগড়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে।

সারজিস আলম স্থানীয় জনগণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই জুলাই অভ্যুত্থানে কতজন রাজনীতিকের সন্তান প্রাণ দিয়েছে, একবার হিসাব করে দেখুন। জীবন দিয়েছে সাধারণ মানুষ, শ্রমিক ও তাদের সন্তানেরা। অথচ কিছু তথাকথিত রাজনীতিবিদ ফায়দা লুটে নিচ্ছে, এই অবস্থা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাঁচ-দশজন চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, সিন্ডিকেটচালক ও মাদক ব্যবসায়ী উপজেলা ও জেলাগুলোকে শোষণ করছে। এজন্যই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আমরা নেমেছি, যাতে মানুষ সচেতন হয় এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়।

স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকেন, তাহলে অল্প কয়েকজন সবকিছু দখল করে নেবে। ভবিষ্যতে আপনার ভূমিধসে সব হারিয়ে যাবে-বাড়ি, সন্তানদের পড়াশোনা, চিকিৎসা সব বন্ধ হয়ে যাবে।

নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, আপনারা যাদের নেতা বানান, তাদের সন্তানরা আমেরিকায় পড়ে, আর আপনারা রোদে পুড়ে দিন কাটান। এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। স্থানীয় নেতাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।

বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত সুনাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার কমিটিতে কিছু চাঁদাবাজ ও কালো চরিত্রের মানুষ রয়েছে, যারা তেঁতুলিয়ার মানুষকে শোষণ করছে।

সারজিস আলম বলেন, কে কোন রাজনৈতিক দলে আছেন- বিএনপি বা জামায়াত তা বড় কথা নয়। যারা সৎ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন, আমরা তাদের সমর্থন করবো, সহযোগিতা করবো, পরামর্শ নেবো। তবে একশ জনের মধ্যে যদি পাঁচজন খারাপ থাকে, আজ থেকেই তারা আমাদের শত্রু। আমরা তাদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করবো।

এর আগে দুপুরে পঞ্চগড় পৌর শহরের সুগার মিল এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে এই লংমার্চের উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। তিনি নিজেই একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়।

পথিমধ্যে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লংমার্চে জেলার পাঁচ উপজেলার এনসিপি নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল দুর্নীতিবিরোধী নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।