চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপদ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে অকেজো সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্যানেলটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, চাকসু নির্বাচন এখন খুবই কাছাকাছি এবং এর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে এগিয়ে চলছে। তবে নির্বাচন কমিশনের কিছু অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কমিশন জানিয়েছিল, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। কিন্তু এখনো বহিরাগতদের চলাফেরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই কবে নাগাদ কার্যকর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে?
সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গে রনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রাখার দাবি জানাই। কিন্তু এখনো ক্যাম্পাসের অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এগুলো দ্রুত মেরামত বা পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি ভোটারদের আস্থার জন্য অমোচনীয় কালির ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের পোলিং এজেন্টদের নাম চেয়েছিল, আমরা তা যথাসময়ে জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনো প্রশাসন জানায়নি, কারা অনুমোদন পেয়েছেন। নির্বাচনের সময় খুবই কাছাকাছি, অথচ এই অনিশ্চয়তা প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেনের সময়সূচি বাড়াতে হবে এবং বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকটা কমবে।
সিনেট সদস্য নির্বাচন প্রসঙ্গে রনি বলেন, ডাকসু ও রাকসু নির্বাচনের মতো চাকসুতেও সিনেট সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। কিন্তু এবার সেই সুযোগ রাখা হয়নি, যা ছাত্র প্রতিনিধিত্বের পূর্ণতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ, নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানা