ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রকৃত মালিক ৪৩ বছর পর জমি বুঝে পেলেন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৪৩ বছর পর বেদখলীয় প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি আদালতের মাধ্যমে ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী ঢাকঢোল পিটিয়ে জমির মালিক বাহার পাটোয়ারীকে জমি বুঝিয়ে দেয় আদালতের প্রতিনিধি দল।

রায়পুর উপজেলার ১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আদালতের প্রতিনিধিদল সকালে ঘটনাস্থলে এসে জমির পরিমাপ করে। পরে লাল নিশানা গেড়ে জমি হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন করে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার কাজীর চর মৌজার ৩৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে মৃত আবিদ, তসলিম, সিরাজ, মমতাজ ও বিল্লালদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৮৩ সালে আবিদ ও হানিফরা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০০৪ সালে আদালত আবিদ ও হানিফদেরকে জমির মালিক হিসেবে ঘোষণা দেন। রায়ের পর প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে প্রশাসন জমিটি উচ্ছেদ করে প্রকৃত মালিকদের দখলে দেয়।

জমি বুঝিয়ে দিতে আদালতের পক্ষে জেলা জজ আদালতের নাজির হুমায়ুন কবির, সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম এবং পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।

বাদী হানিফের ছেলে বাহার পাটোয়ারী বলেন, ৪৩ বছর পর আদালতের সহায়তায় জমি ফিরে পেয়েছি। এ জমির জন্য আমার দাদা আইয়ুব আলী ও জেঠা লনি মিয়া হত্যার শিকার হন। তখন ছয়টি গরুও হত্যা করা হয়। এখন ন্যায় বিচার পেয়ে আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে।

জেলা জজ আদালতের নাজির হুমায়ুন কবির বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকঢোল পিটিয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।

প্রকৃত মালিক ৪৩ বছর পর জমি বুঝে পেলেন

প্রকাশিত : ০৯:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৪৩ বছর পর বেদখলীয় প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি আদালতের মাধ্যমে ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী ঢাকঢোল পিটিয়ে জমির মালিক বাহার পাটোয়ারীকে জমি বুঝিয়ে দেয় আদালতের প্রতিনিধি দল।

রায়পুর উপজেলার ১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আদালতের প্রতিনিধিদল সকালে ঘটনাস্থলে এসে জমির পরিমাপ করে। পরে লাল নিশানা গেড়ে জমি হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন করে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার কাজীর চর মৌজার ৩৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে মৃত আবিদ, তসলিম, সিরাজ, মমতাজ ও বিল্লালদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৮৩ সালে আবিদ ও হানিফরা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০০৪ সালে আদালত আবিদ ও হানিফদেরকে জমির মালিক হিসেবে ঘোষণা দেন। রায়ের পর প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে প্রশাসন জমিটি উচ্ছেদ করে প্রকৃত মালিকদের দখলে দেয়।

জমি বুঝিয়ে দিতে আদালতের পক্ষে জেলা জজ আদালতের নাজির হুমায়ুন কবির, সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম এবং পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।

বাদী হানিফের ছেলে বাহার পাটোয়ারী বলেন, ৪৩ বছর পর আদালতের সহায়তায় জমি ফিরে পেয়েছি। এ জমির জন্য আমার দাদা আইয়ুব আলী ও জেঠা লনি মিয়া হত্যার শিকার হন। তখন ছয়টি গরুও হত্যা করা হয়। এখন ন্যায় বিচার পেয়ে আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে।

জেলা জজ আদালতের নাজির হুমায়ুন কবির বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকঢোল পিটিয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।