ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রতি শিক্ষার্থীর পেছনে ব্যয় মাত্র ৭৬৫ টাকা, মানোন্নয়ন কীভাবে হবে?

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারের বার্ষিক ব্যয় যেখানে মাত্র ৭৬৫ টাকা। তাও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় পায় না।সেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন কীভাবে সম্ভব, এমন প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত ইকোনমিক রিফরম সামিট ২০২৫ এর এক সেশনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উপাচার্য বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন। ঢাকা, রাজশাহী বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় মাত্র ৭৬৫ টাকা। তাও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় পায় না।

প্রফেসর আমানুল্লাহ জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই-তৃতীয়াংশই বেসরকারি, যেখানে সরকার শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সামান্য অর্থ দেয়। এই কলেজগুলো শিক্ষার মান বাড়াবে কীভাবে? ফি বাড়ালে সমালোচনা, না বাড়ালে মানোন্নয়ন অসম্ভব।

ভিসি আরও বলেন, এক রিম কাগজের দাম এখন তিনগুণ বেড়েছে, কিন্তু খাতা দেখার সম্মানী এখনও ৪৫ টাকা। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ১৬০ টাকার বেশি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। বক্তব্য রাখেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া হাসান, ব্রেইন-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, বিল্ডনেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের মাহমুদা হাবিবা।

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

প্রতি শিক্ষার্থীর পেছনে ব্যয় মাত্র ৭৬৫ টাকা, মানোন্নয়ন কীভাবে হবে?

প্রকাশিত : ০৩:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারের বার্ষিক ব্যয় যেখানে মাত্র ৭৬৫ টাকা। তাও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় পায় না।সেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন কীভাবে সম্ভব, এমন প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত ইকোনমিক রিফরম সামিট ২০২৫ এর এক সেশনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উপাচার্য বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন। ঢাকা, রাজশাহী বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় মাত্র ৭৬৫ টাকা। তাও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় পায় না।

প্রফেসর আমানুল্লাহ জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই-তৃতীয়াংশই বেসরকারি, যেখানে সরকার শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সামান্য অর্থ দেয়। এই কলেজগুলো শিক্ষার মান বাড়াবে কীভাবে? ফি বাড়ালে সমালোচনা, না বাড়ালে মানোন্নয়ন অসম্ভব।

ভিসি আরও বলেন, এক রিম কাগজের দাম এখন তিনগুণ বেড়েছে, কিন্তু খাতা দেখার সম্মানী এখনও ৪৫ টাকা। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ১৬০ টাকার বেশি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। বক্তব্য রাখেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া হাসান, ব্রেইন-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, বিল্ডনেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের মাহমুদা হাবিবা।