ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে বিধ্বংসী গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেশটির তদন্তকারী সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে এখনো সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে ঘোষণা না করলেও ঘটনাপ্রবাহের যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে এবং এর সূত্র ধরে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সে দিকেই দিকনির্দেশ করছে।

যদি এটি শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবেই চিহ্নিত হয়, তাহলে তা হবে ২০০৭ সালের পর ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মির কিংবা পাঠানকোটের মতো সংলগ্ন এলাকার বাইরে বাকি দেশে প্রথম এই ধরনের হামলা। ২০০৭ সালে পুনের জার্মান বেকারিতে সর্বশেষ এরকম বড় মাপের সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল।

দিল্লিতে এই বিস্ফোরণের পেছনে কারা ছিল, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল; তা জানতে প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো কোনো সম্ভাবনাই নাকচ করছে না বলে জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা কেউ কেউ আভাস দিয়েছেন, এটি একটি ‌‘ফিদায়িন’ ধাঁচের আত্মঘাতী হামলাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত এবং আহত হয়েছেন ২৪ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান দিল্লি পুলিশ, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কর্মকর্তারা। প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় বেশ কয়েকটি গাড়ির অংশ ১০০ মিটারের বেশি দূরেও ছিটকে পড়ে। কয়েকজন পথচারী কিংবা অটোরিকশার যাত্রী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। লাল কেল্লার নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনের কাছে ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে এখনো ‘‘ক্লু’’ কিংবা সূত্র খোঁজার কাজ চলছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সব সম্ভাবনাই খোলা রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে মঙ্গলবার সকালে তিনি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সভাপতিত্বও করেন।

দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণের কারণ কী। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) এবং এনএসজি বিশ্লেষণ না করা পর্যন্ত আমরা কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না।

 

দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মানুষের শরীরের ছিন্ন ভিন্ন অংশ। এরপর গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মুম্বাই, পুনে ও জম্মুতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা নজরদারি। বোম্ব স্কোয়াড ও স্নিফার কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন বিমানবন্দরে। যাত্রীদের বাড়তি ও নিরাপত্তা তল্লাশির কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে বিমান সংস্থাগুলো।

আকাশা এয়ার যাত্রীদের অনুরোধ করেছে, নিরাপত্তাজনিত অতিরিক্ত সময় বিবেচনায় রেখে উড়ান ছাড়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে। বাড়তি নিরাপত্তা কড়াকড়ির কারণে সারা দেশেই বিমানযাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিবিসি বাংলা।

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা দুই শুটারসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?

প্রকাশিত : ১২:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে বিধ্বংসী গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেশটির তদন্তকারী সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে এখনো সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে ঘোষণা না করলেও ঘটনাপ্রবাহের যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে এবং এর সূত্র ধরে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সে দিকেই দিকনির্দেশ করছে।

যদি এটি শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবেই চিহ্নিত হয়, তাহলে তা হবে ২০০৭ সালের পর ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মির কিংবা পাঠানকোটের মতো সংলগ্ন এলাকার বাইরে বাকি দেশে প্রথম এই ধরনের হামলা। ২০০৭ সালে পুনের জার্মান বেকারিতে সর্বশেষ এরকম বড় মাপের সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল।

দিল্লিতে এই বিস্ফোরণের পেছনে কারা ছিল, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল; তা জানতে প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো কোনো সম্ভাবনাই নাকচ করছে না বলে জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা কেউ কেউ আভাস দিয়েছেন, এটি একটি ‌‘ফিদায়িন’ ধাঁচের আত্মঘাতী হামলাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত এবং আহত হয়েছেন ২৪ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান দিল্লি পুলিশ, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কর্মকর্তারা। প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় বেশ কয়েকটি গাড়ির অংশ ১০০ মিটারের বেশি দূরেও ছিটকে পড়ে। কয়েকজন পথচারী কিংবা অটোরিকশার যাত্রী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। লাল কেল্লার নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনের কাছে ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে এখনো ‘‘ক্লু’’ কিংবা সূত্র খোঁজার কাজ চলছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সব সম্ভাবনাই খোলা রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে মঙ্গলবার সকালে তিনি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সভাপতিত্বও করেন।

দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণের কারণ কী। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) এবং এনএসজি বিশ্লেষণ না করা পর্যন্ত আমরা কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না।

 

দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মানুষের শরীরের ছিন্ন ভিন্ন অংশ। এরপর গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মুম্বাই, পুনে ও জম্মুতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা নজরদারি। বোম্ব স্কোয়াড ও স্নিফার কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন বিমানবন্দরে। যাত্রীদের বাড়তি ও নিরাপত্তা তল্লাশির কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে বিমান সংস্থাগুলো।

আকাশা এয়ার যাত্রীদের অনুরোধ করেছে, নিরাপত্তাজনিত অতিরিক্ত সময় বিবেচনায় রেখে উড়ান ছাড়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে। বাড়তি নিরাপত্তা কড়াকড়ির কারণে সারা দেশেই বিমানযাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিবিসি বাংলা।