ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের মহিনন্দে ১৫ তম ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবসে সম্মাননা ও ৭ দিন ব্যাপী যুব প্রশিক্ষণ শুরু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের ২০ বছরে পদার্পন ও মহিনন্দের ১৫ তম ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস উদযাপিত হয়েছে মঙ্গলবার । “সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য  সংরক্ষণ করবো, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জেলা সদরের মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ পাঠাগার আংগিনায় আলোচনাসভা ও সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৫ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে জানিয়েছেন যুব উন্নয়ন পরিষদ,মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী। তিনি জানান অনুষ্ঠানে  “ইতিহাসের আলোকে ১১ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ ” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ আঞ্চলিক ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়। সেই সাথে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় ও প্রয়াতদের স্মরণে দুয়া করা হয়। একই সাথে এতদাঞ্চলের বেকার যুব ও যুব নারীদের কর্ম সংস্থানের লক্ষে ৭ দিন ব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক  যুব প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুল হাসান মারুফ।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা  মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো: লিয়াকত আলী। দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন মহিনন্দ ইউনিয়ন জুলাইযোদ্ধা হাফেজ মাও জুনাইদ আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মুহাম্মদ মঈনুর রহমান মনির,সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামাল হোসেন,   নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সভাপতি মো: ফিরোজ উদ্দিন ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জেলা কমিটির সভাপতি শফিক কবীর, মহিনন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সরকার, ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন,  ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল, জামায়াত নেতা আবু বকর রেনু, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসাইন,কৃষক ক্লাবের স্বাধীন মিয়া,মাহবুব আলম  প্রমুখ।
পরে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৫ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুল হাসান মারুফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবদান রাখায়  সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম নাঈম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় অধ্যক্ষ ইসরাঈল মিয়া,মহিনন্দের সাহিত্য সংস্কৃতিতে শিল্পী নিরব রিপন, সমাজ সেবায় সদর সমাজ সেবা অফিসার মুহাম্মদ মঈনুর রহমান মনিরকে সম্মাননা স্মারক ২০২৫ প্রদান করা হয়।
এ সময় মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ পাঠাগারের দায়িত্বশীলগণ ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


প্রসংগত  ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর তিলে তিলে সংগ্রহ করা তিলোত্তমা তথ্যসমৃদ্ধ আমিনুল হক সাদীর সম্পাদিত মহিনন্দের ইতিকথা নামে একটি প্রকাশনা বইয়ের উৎসবের আয়োজন করে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ। এতে রাষ্ট্রীয় সফরসূচিতে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত হয়। সব প্রস্ততি যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন নেতৃত্বের রেষারেষিতে কলম সৈনিকদের অগ্রাহ্য করে গ্রন্থ প্রকাশের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চালায় একটি কুচক্রি মহল। শুধু তাই নয় সংগঠনের দায়িত্বশীলের শরীর থেকে রক্তও ঝরায়। কিন্তু একজন লেখক কখনো নীতিহীন সন্ত্রাসীর কাছে পরাজিত হতে পারে না। তাই সে দিন ওই সময়ে সেই আলোচিত মহিনন্দের ইতিকথা গ্রন্থটি মহিনন্দের পরিবর্তে বৌলাই সাহেববাড়িতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে নির্ধারিত প্রধান অতিথির মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষে প্রতি বছর এ সংগঠনটি ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বামনায় ধানের শীষে ভোট চেয়ে ছাত্রদলের নির্বাচনী মিছিল

কিশোরগঞ্জের মহিনন্দে ১৫ তম ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবসে সম্মাননা ও ৭ দিন ব্যাপী যুব প্রশিক্ষণ শুরু

প্রকাশিত : ০৭:০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের ২০ বছরে পদার্পন ও মহিনন্দের ১৫ তম ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস উদযাপিত হয়েছে মঙ্গলবার । “সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য  সংরক্ষণ করবো, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জেলা সদরের মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ পাঠাগার আংগিনায় আলোচনাসভা ও সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৫ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে জানিয়েছেন যুব উন্নয়ন পরিষদ,মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী। তিনি জানান অনুষ্ঠানে  “ইতিহাসের আলোকে ১১ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ ” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ আঞ্চলিক ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়। সেই সাথে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় ও প্রয়াতদের স্মরণে দুয়া করা হয়। একই সাথে এতদাঞ্চলের বেকার যুব ও যুব নারীদের কর্ম সংস্থানের লক্ষে ৭ দিন ব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক  যুব প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুল হাসান মারুফ।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা  মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো: লিয়াকত আলী। দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন মহিনন্দ ইউনিয়ন জুলাইযোদ্ধা হাফেজ মাও জুনাইদ আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মুহাম্মদ মঈনুর রহমান মনির,সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামাল হোসেন,   নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সভাপতি মো: ফিরোজ উদ্দিন ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জেলা কমিটির সভাপতি শফিক কবীর, মহিনন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সরকার, ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন,  ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল, জামায়াত নেতা আবু বকর রেনু, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসাইন,কৃষক ক্লাবের স্বাধীন মিয়া,মাহবুব আলম  প্রমুখ।
পরে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৫ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুল হাসান মারুফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবদান রাখায়  সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম নাঈম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় অধ্যক্ষ ইসরাঈল মিয়া,মহিনন্দের সাহিত্য সংস্কৃতিতে শিল্পী নিরব রিপন, সমাজ সেবায় সদর সমাজ সেবা অফিসার মুহাম্মদ মঈনুর রহমান মনিরকে সম্মাননা স্মারক ২০২৫ প্রদান করা হয়।
এ সময় মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ পাঠাগারের দায়িত্বশীলগণ ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


প্রসংগত  ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর তিলে তিলে সংগ্রহ করা তিলোত্তমা তথ্যসমৃদ্ধ আমিনুল হক সাদীর সম্পাদিত মহিনন্দের ইতিকথা নামে একটি প্রকাশনা বইয়ের উৎসবের আয়োজন করে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ। এতে রাষ্ট্রীয় সফরসূচিতে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত হয়। সব প্রস্ততি যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন নেতৃত্বের রেষারেষিতে কলম সৈনিকদের অগ্রাহ্য করে গ্রন্থ প্রকাশের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চালায় একটি কুচক্রি মহল। শুধু তাই নয় সংগঠনের দায়িত্বশীলের শরীর থেকে রক্তও ঝরায়। কিন্তু একজন লেখক কখনো নীতিহীন সন্ত্রাসীর কাছে পরাজিত হতে পারে না। তাই সে দিন ওই সময়ে সেই আলোচিত মহিনন্দের ইতিকথা গ্রন্থটি মহিনন্দের পরিবর্তে বৌলাই সাহেববাড়িতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে নির্ধারিত প্রধান অতিথির মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষে প্রতি বছর এ সংগঠনটি ঐতিহ্য সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।