রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা বাদী হয়ে আজ (মঙ্গলবার) পল্লবী থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের নামসহ একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহারে নিহত গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা হলেন— মো. জনি ভূইয়া (২৫), সোহেল পাতা ওরফে সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ হাকালু (২৭) মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)।
এজহারে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া একজন ব্যবসায়ী এবং ব্যবসার পাশাপাশি পল্লবী থানা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সময় পেলে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, ব্লক-বি, রোড-০৫ হাউজ-১৭১ এর ৬ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার এন্ড স্যানিটারি দোকানে বসে দোকান মালিক তার বন্ধু মাসুদ রানার সাথে কথাবার্তা বলতেন। গতকাল কথাবার্তা বলা কালীন সময়ে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটের সময় ২ নং আসামি সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির এবং ৪ নং আসামী মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পূর্ব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে আসামীদের মধ্যে ১ নং আসামি মো. জনি ভূইয়া, ৩ নং আসামি সোহাগ ওরফে কালু ও ৫ নং আসামি রোকনসহ দোকানে অতর্কিতভাবে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিদের হাতে থাকা পিস্তল দ্বারা চোয়ালে, গলার ডান পাশে, বাম কানের পেছনে, ঘাড়ের পেছনে, বুকের ডান পাশে, বুকের বাম পাশে, ডান হাতে বাহুতে, বাম হাতের কনুইয়ে, বাম হাতের কব্জিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি গুলি করে। এতে গোলাম কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, এরপর আসামিরা পালানোর চেষ্টাকালে ১নং আসামি মো. জনি মো. আরিফের রিকশায় ওঠেন। রিকশাচালককে দ্রুত রিকশা চালাতে বলেন তিনি। রিকশাচালক দ্রুত রিকশা না চালাতে পারলে আসামিরা রিকশাচালক আরিফকে গুলি করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। আশপাশের লোকজন গোলাম কিবরিয়াকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন রিকশাচালক আরিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এজহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংবাদ পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগণকর্তৃক আটককৃত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামি মো. জনিকে হেফাজতে নেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















