পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ দিন দিন বাড়ছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এ জেলায় ইতোমধ্যেই মৌসুমী শীতের দাপট অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ।
ভোর থেকে আকাশে ঘন কুয়াশা না থাকলেও তেঁতুলিয়া, দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদরসহ সব উপজেলাতেই ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। সকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসে পড়ছে শীতের ছোঁয়া।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত ছয় দিন ধরে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ছিল। বুধবার ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।টানা কয়েক দিনের স্থিতিশীল আবহাওয়ার পর আজ তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি ঘরে নেমে আসায় শীতের অনুভূতি আরও বেড়েছে।

কালিয়াগঞ্জের দিনমজুর আনারুল বলেন, সকালে কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা লাগে। রোদ থাকলে কাজ করতে ভালো লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার পর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।চাকলাহাটের বাসিন্দা শহিদুল্লাহ বলেন, ভোরে মাঠে গেলে হাত-পা জমে আসে। রোদ উঠলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবে সকাল পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা লাগে।
এদিকে শীত বাড়তে শুরু করায় গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে জেলা শহর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ গরম কাপড় ব্যবহার শুরু করেছেন। হাট-বাজারে কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলারসহ শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। পাশাপাশি চা, কফি, আদা-লেবুর চায়ের দোকানগুলোতেও রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি ছিল, আজ তা কমে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। কুয়াশা না থাকলেও বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মানুষ শীত বেশি অনুভব করছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















